আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগ পাওয়া কর্মীরা দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছে না বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘পূর্বের সরকারের সময় যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেকে দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছে না। এই ধরনের কর্মীদের জায়গায় নতুন কর্মী নিয়োগ দেবো, যাতে কাজের মান উন্নত হয়। যারা নাগরিকদের প্রাপ্য সেবা দিতে ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এসময় পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম নিয়ে তার অসন্তুষ্টির কথাও জানান মেয়র।
রোববার সকালে নগরের ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের উপস্থিতি যাচাইকালে এসব কথা বলেন তিনি। সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের উপস্থিতি যাচাই করেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। গত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগে অন্তত আড়াই হাজার কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র ‘ডোর টু ডোর’ কর্মসূচির আওতায় দুই হাজার ৬৫ জন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। যাদের নিয়োগে নিয়মের বালাই ছিল না। তৎকালীন কাউন্সিলর ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের লোকজন অর্থের বিনিময়ে এবং তাদের স্বজনদের নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সিটি মেয়র বলেন, ‘ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে অভিযান চালিয়েও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম নিয়ে আমি এখনও শতভাগ সন্তুষ্ট নই। এখনও আমার লক্ষ্যের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশও অর্জন হয়নি। এটাকে যখন ৮০-৯০ শতাংশে যখন নিতে পারব, তখনই মনে করব আমি সন্তুষ্ট। গত সরকার আমলে যারা ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিল তারা নিজেদের কিছু লোককে এখানে ঢুকিয়ে দিয়েছে। তাদের একটি অংশ ফাঁকিবাজি করছে, কাজ করছে না।’
পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীদের সতর্ক করে মেয়র বলেন, ‘পর্যাপ্ত মশার ওষুধ আছে। মশার ওষুধের জন্য চিন্তার কিছু নেই। যত লাগে দিবে। কিন্তু মশার ওষুধ মারতে হবে। মানুষের দুর্ভোগ যাতে বন্ধ হয়। যারা ফাঁকিবাজি করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমি বারবার বলছি এই দুই মাস শীতকাল যতদিন থাকবে কিউলেক্স মশা বাড়তে থাকবে। এ মশাগুলো খুবই ডিস্টার্ব করবে। তাই মানুষের দুর্ভোগ যাতে না হয় এ ব্যাপারে আমরা বদ্ধপরিকর। অন্যথায় কাজের গাফেলতির জন্য কারো কারো চাকরিও চলে যেতে পারে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, সহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন সেলিম, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা ও মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরীসহ পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।