ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সম্ভবত অ্যাস্ট্রাজেনেকা ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন সরবরাহের চুক্তি নবায়ন করবে না। ফরাসি শিল্পমন্ত্রী অ্যাগনেস প্যানিয়ের-রুনাশের শুক্রবার এ কথা বলেছেন। খবর এএফপির।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার ব্যাপারে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানান ফরাসি মন্ত্রী। তবে তিনি বলেন, ‘অ্যাস্ট্রাজেনেকার আর কোনো ডোজ অর্ডার না দেয়ার সম্ভবনা খুব বেশি।’
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসন জানিয়েছে, ইউরোপে ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে তাদের দেরি হবে। এছাড়া রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা জনসনের ভ্যাকসিন প্রয়োগেও ঘটেছে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী প্যানিয়ের-রুনাশের বলেন, ‘আমরা জনসন অ্যান্ড জনসনের সঙ্গে অথবা অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে নতুন চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা এখনও শুরু করিনি। তবে ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার সঙ্গে আমরা আলাপ শুরু করেছি।’
অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও জনসন অ্যান্ড জনসনের এই বিপর্যয়ের কারণে মহামারি থেকে রেহাই পেতে ব্যাপকভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োগের আশা কমে যাচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, প্রত্যাশিত সময়ের আগেই তারা ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনের ৫ কোটি ডোজ পেতে যাচ্ছে। ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনের এই ৫ কোটি ডোজ ইউরোপে সরবরাহের কথা ছিল এ বছরের শেষ নাগাদ। কিন্তু তা এ মাসের মধ্যেই পৌঁছে যাবে।
এদিকে, রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনার কারণে ডেনমার্ক এ সপ্তাহে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিষিদ্ধ করেছে। বুধবার দেশটির কর্মকর্তারা জানান, তারা অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করে দিচ্ছে। ইউরোপের অন্য কিছু দেশ এই ভ্যাকসিন ব্যবহারে বয়সের সীমা বেঁধে দিলেও ডেনমার্কই প্রথম দেশ যারা সকল বয়সীদের জন্যই ভ্যাকসিনটির ব্যবহার নিষিদ্ধ করল।