ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনাদের উপস্থিতি বৃদ্ধি নিয়ে কয়েক সপ্তাহের উত্তেজনা শেষে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বেশ কয়েকটি ইউনিটকে তাদের ঘাঁটিতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। খবর বিবিসির।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ধারণা, ইউক্রেনের সীমান্ত ও ক্রিমিয়াতে ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়ার দখল করা অংশে এক লাখ সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল।
শোইগু জানান, ক্রিমিয়ায় অবস্থানকারী সেনারাও ঘাঁটিতে ফিরে যাবে। তিনি আরও জানান, ‘তাৎক্ষণিক নজরদারির’ উদ্দেশ্য সাধন হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোডিমির জেলেন্সকি এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সংঘর্ষের এলাকায় দেখা করতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তিনি সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। তিনি বলেন, ৫৮তম ও ৪১তম ইউনিটের কমান্ডার ও কয়েকটি এয়ারবর্ন ডিভিশনকে তিনি শুক্রবার থেকে ঘাঁটিতে ফিরে যেতে এবং ১ মে’র মধ্যে অপারেশন শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেন্সকি গত সপ্তাহে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে সেনাবাহিনী বৃদ্ধি করেন। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রধান ও রুশ সামরিক ইউনিট ক্রিমিয়াসহ রোস্তভ, ব্রায়ান্সক ও ভোরোনেঝের দিকে এগোতে থাকে। আর ব্যাটালিয়নের কৌশলী দলগুলো সীমান্তে অবস্থান করতে থাকে।
শোইগুর ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় ন্যাটো বলেছে, সেনা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত বদলে ফেললে তা হবে গুরুত্বপূর্ণ ও বেশ বিলম্বিত পদক্ষেপ। ন্যাটোর সামরিক বাহিনী সেখানে সতর্ক অবস্থানে থাকবে বলেও জানায় সংস্থাটি।
ন্যাটোর নেতারা জুনে একটি সম্মেলন ডেকেছেন যেখানে অন্যতম প্রধান এজেন্ডা হবে রাশিয়া।
ন্যাটোর ‘হুমকি’র পর রাশিয়া সেনা প্রত্যাহার করে নিলেও জানা যাচ্ছে, দেশটি কৃষ্ণ সাগর থেকে বিদেশি জাহাজ চলাচলের অঞ্চলগুলো ঘেরাও করার পরিকল্পনা করছে। ইউক্রেন আশঙ্কা করছে, এর ফলে তাদের বন্দরগুলোতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।