
আর মাত্র কয়েকটা ঘণ্টার অপেক্ষা। এরপরই ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর ইউরোর ফাইনাল। মুখোমুখি সময়ের অন্যতম সেরা দুই দল স্পেন ও ইংল্যান্ড। দুই দলই এবারের ইউরোতে দেখিয়েছে নিজেদের সর্বোচ্চটা। যদিও স্পেনের তুলনায় ইংল্যান্ডকে খুব একটা পরীক্ষা দিতে হয়নি। ইংলিশরা ফাইনালে এসেছে স্লোভাকিয়া, সুইজারল্যান্ড আর নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে।
সেদিক থেকে লুইস দে লা ফুয়েন্তের দল পেয়েছে কঠিন সব প্রতিপক্ষ। রাউন্ড অভ সিক্সটিনে দুর্বল জর্জিয়াকে পেলেও এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক জার্মানির যাত্রা থামিয়েছে তারা। আর সেমিফাইনালে হারিয়েছে হট ফেভারিট স্পেনকে। এবার ফাইনালে তাদের সামনে গ্যারেথ সাউথগেটের ইংল্যান্ড।
ফাইনাল জয় করলে ইংল্যান্ড পাবে নিজেদের প্রথম ইউরো শিরোপা আর স্পেন পাবে নিজেদের চতুর্থ শিরোপা। যা তাদেরকে এই প্রতিযোগিতার রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন করবে। সেইসঙ্গে আছে বিপুল অর্থমূল্যের পুরস্কার। ফাইনাল ম্যাচের জয়ী দল পাবে ৭ দশমিক ২ মিলিয়ন পাউন্ড। আর রানারআপের জন্য উয়েফার বরাদ্দ থাকছে ৪ দশমিক ৩০ মিলিয়ন ইউরো।
তবে এটা কেবল ফাইনালের জন্য বরাদ্দকৃত পুরস্কার। স্পেন এবং ইংল্যান্ড দুই দলই পুরো টুর্নামেন্টে বিভিন্ন পর্যায় জুড়ে জয়ের সুবাদে পাবে আরও ব্যাপক অর্থপুরস্কার। যদিও ফাইনাল জয়ের পর স্পেনই ইংল্যান্ডের তুলনায় বেশি অর্থমূল্যের পুরস্কার। ফাইনাল জিতলে স্পেন পাবে ২৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন পাউন্ডের অর্থপুরস্কার। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের জন্য থাকছে ২২.৯৫ মিলিয়ন পাউন্ড।
কিন্তু কেন এমন বৈষম্য দুই দলের প্রতি? মূলত আসরে দুই দলের পারফরম্যান্সের কারণেই এই পার্থক্য। স্পেন গ্রুপ পর্বে নিজেদের ৩ ম্যাচেই জয় পেয়েছে। আর ইংল্যান্ড নিজেদের গ্রুপে ড্র করেছিল ডেনমার্ক ও স্লোভাকিয়া ম্যাচ। যে কারণে সেই দুই ম্যাচের উইনিং ফি পাচ্ছে না তারা। আর সেখান থেকেই মূলত তৈরি হয়েছে দুই দলের পুরস্কারের বৈষম্য।