পাকিস্তানের একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত ইমরান খানের দলের ১০ জন সংসদ সদস্যকে জামিন দিয়েছে। আজ সোমবার তাদের জামিন দেওয়া হয় বলে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার কারাগারে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দলের ১০ জন সংসদ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক মন্তব্য পোস্টের অভিযোগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।এ ঘটনায় দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফআইএ) একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। চার সদস্যের এই কমিটির নেতৃত্বে আছেন সংস্থাটির সাইবার ক্রাইম উইংয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্টে ইমরান দেশটির ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়ে উসকানিমূলক মন্তব্য করেছেন। পাশাপাশি ইমরানের পোস্টের মাধ্যমে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ও দেশজুড়ে অরাজকতা সৃষ্টির আহ্বান জানানো হয়েছে।
নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে ইমরান খান লিখেছিলেন, ক্ষমতা ধরে রাখতে পুরো দেশের মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়ার ঘটনা পাকিস্তানে এটাই প্রথম নয়। নিজের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ওপর আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর দমনপীড়নের নিন্দা জানিয়ে ইমরান খান বর্তমান সরকারকে ‘ইয়াহিয়া খান পার্ট-২’ বলে অভিহিত করেছেন।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইমরান খান লিখেছেন, ‘দেশ বর্তমানে স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খানের শাসনের মুখোমুখি হয়েছে। (জেনারেল) ইয়াহিয়া খান দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছিলেন।
ইয়াহিয়া খান পার্ট-২ একই কাজ করছে এবং দেশের প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করছে।’তিনি আরো লিখেছেন, ‘১৯৭০ সালের নির্বাচনে জিতলেও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছিল।’ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর অফিসার ছিলেন। তিনি ১৯৬৯ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।