রকিবুল হাসানের বলে ক্রিজ ছেড়ে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারলেন এনামুল হক। বলের ঠিকানা সীমানার ওপারে নিশ্চিত হতেই হেলমেট খুলে দুই হাত ছড়িয়ে দিলেন। আগের রাউন্ডে ৫ রানের আক্ষেপ থাকায় এবার সেঞ্চুরি ছোঁয়ার আনন্দটা যেন একটু বেশিই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডে এনামুল ছাড়াও খুলনার হয়ে তিন অঙ্কের জাদুকরী স্পর্শ পেয়েছেন অমিত মজুমদার। চট্টগ্রামের জার্সিতে পঞ্চাশ ছুঁয়ে অপরাজিত পারভেজ হোসেন। তেমন রানের দেখা মেলেনি রংপুর-সিলেট ম্যাচে।
এনামুল-অমিতের সেঞ্চুরিসিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে এনামুল, অমিতের সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনে ৬ উইকেটে ৩৫৮ রান করেছে খুলনা।টস জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে যেন নিজেদের বিপদই ডেকে আনে মেট্রো। প্রথম সেশনে কোনো উইকেট নিতে পারেনি তারা। মধ্যাহ্ন বিরতির পর ছক্কা মেরে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের ২৪তম সেঞ্চুরি করেন এনামুল।চা বিরতির কিছুক্ষণ আগে এনামুলকে ফেরান আশরাফুল ইসলাম। ১৩ চার ও ৩ ছক্কায় ১৬৯ বলে ১২৫ রান করেন এনামুল। তার বিদায়ে ভাঙে ২৩০ রানের উদ্বোধনী জুটি।
এরপর ইমরুল কায়েসকে নিয়ে ৯৬ রানের জুটি গড়ে তোলেন অমিত। প্রায় ১৬ বছর ও ৪৯ ম্যাচের ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করলেন অমিত।ইমরুলের সঙ্গে অমিতের জুটি ভাঙে আম্পায়ারের প্রশ্নবিদ্ধ রান আউটের সিদ্ধান্তে। ৭ চারে ৪৬ রান করে ফেরেন ইমরুল।এরপর মোহাম্মদ মিঠুন, নুরুল হাসান সোহান, জিয়াউর রহমান বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দিনের খেলা শেষ হওয়ার ৫ ওভারে আগে ১৪৫ রানে আউট হন অমিত। ১৪ চার ও ৩ ছক্কায় তিনি সাজান ২৩৪ বলের ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (প্রথম দিন শেষে)
খুলনা ১ম ইনিংস: ৮৭.১ ওভারে ৩৫৮/৬ (এনামুল ১২৫, অমিত ১৪৫, ইমরুল ৪৬, মিথুন ৩, সোহান ১৬, টিপু ১, জিয়াউর ১, মেহেদি ০; ফাহিম ১৩.১-২-৫২-১, শহিদুল ১৬-১-৪৯-২, আনিসুল ৫-১-১৫-০, রকিবুল ১৩-০-৭০-১, আশরাফুল ১৭-২-৭১-১, আমিনুল ১৩-১-৪৩-০, আইচ ৪-০-১৬-০, শামসুর ৬-০-২৪-০)
রংপুরকে গুঁড়িয়ে সিলেটের ইতিবাচক শুরু
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে সিলেটের তিন পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ, রেজাউর রহমান রাজা ও আবু জায়েদ চৌধুরির তোপে অল্পেই গুটিয়ে গেছে রংপুর। পরে ইতিবাচক শুরু করেছে সিলেটের দুই ওপেনার।প্রথম দিন শেষে রংপুরের ১৫৮ রানের জবাবে সিলেটের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৪ রান। ১৩৪ রানে পিছিয়ে থেকে নতুন দিনের খেলা শুরু করবে সিলেটের দুই ওপেনার পিনাক ঘোষ ও তৌফিক খান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুরের দুই ওপেনার গড়েন ৫১ রানের জুটি। এরপর আর তেমন কোনো জুটি গড়ে ওঠেনি।পাঁচ নম্বরে নেমে দলের সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন অধিনায়ক আকবর আলি। এছাড়া খালিদ ৩৩ ও রিজওয়ান করেন ২১ রান।সিলেটের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন খালেদ, রাজা ও আবু জায়েদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (প্রথম দিন শেষে)
রংপুর ১ম ইনিংস: ৬২.৩ ওভারে ১৫৮ (রিজওয়ান ২১, খালিদ ৩৩, মিম ৪, নাঈম ১, আকবর ৩৭, তানবির ২, নবিন ৮, রবিউল ১৩, হাশিম ১১, মুকিদুল ৭, গালিব ৭*; আবু জায়েদ ১৩.৩-২-৩৬-৩, খালেদ ১৬-২-৪৫-৩, রাজা ১৬-৩-৪৩-৩, তোফায়েল ১১-৪-১৬-১, রাহাতুল ৫-০-১১-০, মাইশুকুর ১-১-০-০)
সিলেট ১ম ইনিংস: ৮ ওভারে ২৪/০ (পিনাক ১৪, তৌফিক ৯; মুকিদুল ৪-১-১৪-০, গালিব ৩-০-১০-০, রবিউল ১-১-০-০)
বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে চট্টগ্রামের ভালো শুরু
ভেজা আউটফিল্ডের কারণে কক্সবাজার একাডেমি মাঠে প্রথম দুই সেশনে খেলা সম্ভব হয়নি। ঢাকার বিপক্ষে শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে ২৬ ওভারে ১ উইকেটে ১০৭ রান করেছে চট্টগ্রাম।টস জিতে চট্টগ্রামকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে শুরুতেই ভাগ্যের ছোঁয়া পায় ঢাকা। তৃতীয় ওভারে রান আউট হন সাব্বির হোসেন।
এরপর আর বিপদ ঘটতে দেননি পারভেজ হোসেন ও সাজ্জাদুল হক। ১০২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে মাঠ ছাড়েন তারা।পারভেজ ৫৪ ও সাজ্জাদুল ৪৬ রানে নতুন দিনের খেলা শুরু করবেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (প্রথম দিন শেষে)
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ২৬ ওভারে ১০৭/১ (সাব্বির ১, পারভেজ ৫৪, সাজ্জাদুল ৪৬; সুমন ৪-০-১১-০, রিপন ৪-১-১০-০, এনামুল ৪-০-২৯-০, শুভাগত ৫-০-২৯-০, নাজমুল ৬-১-১৭-০, মোসাদ্দেক ৩-০-৭-০)
কক্সবাজারের আরেক মাঠে বৃষ্টির দাপট
শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সারা দিনে খেলা শুরু করাই সম্ভব হয়নি। তাই নতুন দিনের অপেক্ষায় বরিশাল ও রাজশাহী।