তরমুজ একটা উৎকৃষ্টমানের ও তৃপ্তিদায়ক ফল। সেচসহ পরিচর্চা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। তারা দেখছেন নোনালী স্বপ্ন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্ষেতে কাজ করছেন। তারা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। খুলনা কৃষি অঞ্চলের ৪জেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২৬১২হেক্টর।
আবাদ করা হয়েছে ১৩৩৩৩ হেক্টর। ৭২১ হেক্টর বেশী আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫৬০৫৭ মেট্রিকটন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের স্বপ্ন পূরণে কাজ করছে। তাদের পরামর্শে কৃষকরা ঝুকছেন তরমুজ চাষে।
সূত্র জানান, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে মৌসুমে খুলনা অঞ্চলের জেলার মধ্যে খুলনা জেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২২২৫হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে ১২৯৬৫ হেক্টর। উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ৪৪৩৪৮২ মেট্রিকটন। বাগেরহাট জেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬২ হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে ৫০হক্টর। উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে৬৮১৯ মেট্রিকটন। সাতক্ষীরা জেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১৫ হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে ৩১২হেক্টর।
উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ৫৪৫০ মেট্রিকটন এবং নড়াইল জেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে ৬হেক্টর। উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ৬৩০ মেট্রিকটন। কৃষক ক্ষেত পরিচর্চা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাদায় সারিবদ্ধ ভাবে এবং ট্রে ও পলিব্যাগে চারা তৈরী করে মূল জমিতে রোপন করতে হয়। খুলনার বাজারে পটুয়াখালির আগাম জাতের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। তবে তা অপরিপক্ক। তরমুজে রয়েছে কেলসিয়াম খনিজ পদার্থ, শর্করা, খাদ্য শক্তি, ফসফরাস ও ভিটামিন। তরমুজের মধ্যে ভিক্টর সুপার, ওশেন সুপার, বঙ্গলিংক, গ্রীণ ড্রাগন, সুপার এম্পেরর, ভিক্টরী ও এম এস সি বাংলালিংক জাতের রোপণ করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহন কুমার ঘোষ বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আবাদ ভালো হয়েছে। উৎপাদনে সফলতা লাভ করবে। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সঠিক পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। কৃষক তরমুজ উৎপাদনে উৎসাহ বোধ করছেন। অনেক সময় খরার কবরে পড়তে হয় কৃষকদের। খরার কবল থেকে রক্ষা পেতে বর্ষা কালে অফসিজেনের তরমুজ চাষে ঝুকছেন কৃষক। এতে সেচের প্রয়োজন হয়না। দামও ভালো পাওয়া যায়।