টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে নিজেদের সেরাটা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ বেশ ক’দিন আগেই তাঁবু গাড়ে ওমানে। আরও ভালোভাবে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে ওমান ‘এ’ দলের বিপক্ষে অনানুষ্ঠানিক ম্যাচ খেলে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। তাতে দারুণ করেছে বাংলাদেশ একাদশ নামে খেলা লিটন দাসের দল। স্বাগতিক শিবিরকে ব্যাটে-বলে পাত্তা না দিয়ে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে।
শুক্রবার (৮ অক্টোবর) ওমানের আল আমেরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে খেলাটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়। বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান তোলে। টার্গেটে খেলতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান তোলে ওমান ‘এ’ দল। বাংলাদেশ একাদশ ৬০ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুতেই নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসানের ঘূর্ণির শিকার হন ওমানের দুই ওপেনার। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলেও একপাশ আগলে রাখার চেষ্টা করেন শোয়াইব খান। তিনিই ৩৯ বলে সর্বোচ্চ ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন। এ ছাড়া শেষ দিকে রাফিউল্লাহ ১৩ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস না খেললে দেড়’শ রানের কাছাকাছিও যেতে পারতো না তারা। মাঝে মেহরান খান-রউফ আতাউল্লাহ খেলেন ১৯ রানের ইনিংস।
বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল ইসলাম সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়েছেন। কিপটে বোলিং করেছেন সাইফউদ্দিন। ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। এ ছাড়া ১টি করে উইকেট নেন নাসুম, মেহেদী ও আফিফ হোসেন। আফিফ মাত্র ১ ওভার বোলিং করে ৪ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।
এর আগে লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈমের দারুণ শুরুর পর শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহানের ঝড়ে বাংলাদেশ দুই’শ পার হয়। মাত্র ১৫ বলে ৪৯ রান করে সোহান ও ১০ বলে ১৯ রান করে শামীম পাটোয়ারি অপরাজিত ছিলেন। শেষ ১২ বলের মধ্যে সোহান-শামীম হাঁকান ৭টি ছয়। তার মধ্যে সোহান একাই হাঁকান ৫টি (মোট ছয় ৭টি)। ১৯তম ওভারের প্রথম ৩ বলে ৩টি ছয়ের পর ইনিংসের শেষ ২ বলেও উড়িয়ে বাউন্ডারি পার করেন। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ইনিংসে ছয়ের মার ছিল ১৩টি। শেষ ৫ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৮১ রান।
দুই ওপেনার লিটন ও নাঈমকেই আউট করতে পারছিলেন না ওমানের বোলাররা। প্রথম উইকেটের দেখা পেতে অপেক্ষা করতে হয় ১২তম ওভার পর্যন্ত। ততক্ষণে শতরান জমা হয়ে যায় বাংলাদেশের স্কোর বোর্ডে। মাত্র ৩৩ বলে ৩টি চার ও ২টি ছয়ে ৫৩ রান করেন লিটন। অপর ওপেনার নাঈম সাজঘরে যান রিটায়ার্ড হয়ে। তিনি ৬টি চার ও ১টি ছয়ে ৫৩ বলে ৬৩ রান করেন।
লিটন আউট হলে বাংলাদেশ মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে হারায় ৩ উইকেট। সৌম্য সরকার ৮ বলে ৮ ও আফিফ হোসেন বলে ৬ রান করলেও মুশফিকুর রহিম প্রথম বলেই ফেরেন শূন্যরানে। নাঈম রিটায়ার্ড হয়ে ফিরলে ক্রিজে আসেন শামীম। এরপর সোহান-শামীম মিলে ইনিংস শেষ করে আসেন।
ওমানের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন আমির কলিম ও সামি শ্রীবাস্তব। ইনিংসের প্রথম দুই বলেই নো-ওয়াইড দেওয়া রাফিউল্লাহ ৪ ওভারে দেন ৪৮ রান।
এই ম্যাচে খেলেননি নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অধিনায়কত্ব করেছেন লিটন কুমার দাস। এ ছাড়া ছিলেন না তাসকিন আহমেদও। আর বদলি খেলোয়াড় হিসেবে ছিলেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও রুবেল হোসেন।