খুলনায় কয়েক দিন ধরেই জেঁকে বসেছে তীব্র শীত, সঙ্গে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাস। এরই মাঝে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি দুর্ভোগের মাত্রা আরও বাড়িয়েছে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরের পর থেকে আকাশ মেঘে ঢেকে যায়। শীতের মধ্যে বিকেলে কয়েক দফায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়।
এদিকে হাড়কাঁপানো শীতে প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে দরিদ্র মানুষের কষ্ট বাড়ছে। এ ছাড়া আয় কমে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে এই শ্রমজীবী মানুষদের। তবুও জীবন চালাতে তাদের নামতে হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে।
নগরীর জোড়াগেট এলাকার বাসিন্দা রিকশাচালক মো. সোহেল তালুকদার বলেন, প্রচণ্ড শীতে রিকশা চালাতে অনেক কষ্ট হয়। তবুও খুব সকালেই পেটের দায়ে কাজে নামতে হচ্ছে।
নগরীর শিববাড়ি মোড়ে বসে থাকা সোনাডাঙ্গা বাসটার্মিনাল এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর মো. মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রচুর শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতে বাইরে বের হওয়া যায় না। তাবুও বের হয়েছি কাজের জন্য। তবে ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না, খুব সমস্যায় রয়েছি। আয় কম হচ্ছে, সংসার চলছে না।
নগরীর কবীর বটতলা এলাকার বাসিন্দা ও নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ বলেন, দুপুর ২টার দিকে শিববাড়ি মোড় এলাকায় ছিলাম, তখন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। এ ছাড়া বিকেল ৫টার দিকেও বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় শীত আরও বেড়েছে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যায় না।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. আমিরুল আজাদ জানান, খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া খুলনায় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি, যশোরে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি, কুষ্টিয়ায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি, সাতক্ষীরায় ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি এবং মোংলায় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আকাশ মেঘলা রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। মেঘ কেটে গেলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বলে।