করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারাদেশে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৭ হাজার ৭৮৫ জনে।
সাতজনের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও দুইজন নারী। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ছয়জন ও বেসরকারি হাসপাতালে একজন মারা যান। মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৪৬৯ জন। এ নিয়ে সারাদেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬৬ হাজার ২৯৬ জনে।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ৮৩১টি ল্যাবরেটরিতে ২১ হাজার ৩০৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করতে এক কোটি এক লাখ ৩৫ হাজার ৪২টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো।
নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ২০ শতাংশ। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। আজ পর্যন্ত সর্বমোট নমুনা পরীক্ষার ভিত্তিতে শনাক্তকৃত রোগীর হার ১৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৯৭ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ২৯ হাজার ৬৮ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৬২ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃত সাতজনের মধ্যে চল্লিশোর্ধ্ব দুইজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব একজন, ষাটোর্ধ্ব একজন, সত্তরোর্ধ্ব একজন ও ৮০ বছরের বেশি বয়সী দুইজন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারি হিসাবে দেখা গেছে, সাতজনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে তিনজন, চট্টগ্রামে দুইজন, খুলনায় একজন ও রংপুর বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।