দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৮১ জনের।নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১৯২ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭ হাজার ৩৬২ জনে।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৯১৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৯৭ হাজার ২১৪ জন।
সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২১৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৮টি,জিন-এক্সপার্ট ২৯টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৭২টি।
এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৮ হাজার ৭৭০টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৯ হাজার ৯৫৯টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫১ লাখ ১৫ হাজার ৫৭২ টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক শূন্য শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৪৩ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৯৪ জনের মধ্যে ৬৪ জন পুরুষ, ৩০ জন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন। এছাড়া রাজশাহী ৬ জন, খুলনায় তিনজন, বরিশাল দুইজন, সিলেট ও রংপুরে একজন করে দুইজন রয়েছেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ৯০ এবং বাড়িতে চারজন মারা গেছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৫২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন রয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৬৫৭ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৪৯ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ১৪ হাজার ৮২ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯৬ হাজার ৭১৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৭ হাজার ৩৬৪ জন।
দেশে গত ৮ মার্চ করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।