ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রশাসক নিয়োগের বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
তিনি বলেছেন, “শোনা যাচ্ছে, একজন উপদেষ্টার নেতৃত্বে বা প্ররোচণায় ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রশাসক নিয়োগ করতে চায়। এই অভিযোগ যদি সত্য হয়, তাহলে তারা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারবে না। জনগণ তাদেরকে একদিনের জন্যও অফিসে বসতে দেবে না।’
বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর শ্যামপুরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত ৩১ দফা কর্মশালায় ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু।
ইশরাক বলেন, ‘বর্তমান সরকারের একজন উপদেষ্টা তার প্ররোচণায় ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটির ১২৯টি ওয়ার্ডে ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে নিজেদের মনোনীত ব্যক্তিদের কাউন্সিল পদে প্রশাসক নিয়োগ করতে চায়। এটি যদি মিথ্য হয়ে থাকে, তাহলে এর কোনো ভিত্তি নেই। কিন্তু যদি এটি সত্য হয়ে থাকে, এই কর্মশালা থেকে হুঁশিয়ারি দিতে চাই- এটি তারা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারবে না।”
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে খুনি হাসিনা যেভাবে মনোনয়ন বাণিজ্য করে অযোগ্যদের মেয়র, এমপি-মন্ত্রী বানিয়েছেন, সেভাবে করা হলে জনগণ মেনে নেবে না। তাদেরকে জনগণ একদিনের জন্য বসতে দেবে না। যদি প্রশাসক নিয়োগ দিতে হয় স্বচ্ছভাবে বিএনপিসহ অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে যোগ্য ব্যক্তিদের প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারে।’
ইশরাক বলেন, ‘আজকে নগরায়নের কথা বলা হলেও কোনো বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে না। যে যার মতো পরিবেশ নষ্ট করছে। অপরিকল্পিত দালান নির্মিত হচ্ছে। আমরা নগরবাসীর জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে পারিনি। ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা। এসব থেকে নগরবাসীকে নিষ্পত্তি দিতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তাই কোনো অযৌক্তিক কারণ দেখেয়ি নির্বাচন বিলম্বিত করার চক্রান্ত জনগণ মেনে নেবে না।