আফগানিস্তানে তালেবান বলছে, তারা উত্তরাঞ্চলীয় জাউজান প্রদেশের শেবার্গান শহরের একটি কারাগার দখলে নিয়ে সেখানের সব বন্দিদের ছেড়ে দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বিদ্রোহীরা হামলা চালানোর পর ওই কারাগার থেকে শত শত বন্দি পালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে তালেবান শহরটি দখলে নিয়ে তাদের দ্বিতীয় আঞ্চলিক রাজধানীতে পরিণত করেছে। শনিবার (৭ আগস্ট) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শেবার্গান সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট আবদুল রশিদ দস্তুমের শক্ত ঘাঁটি হওয়া তার সমর্থকরা সেখানে তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, আফগান সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য দেশটির বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৫০ জনের বেশি শহরটিতে গেছে তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য।
অন্যদিকে অঞ্চলটির কাউন্সিল প্রধান বাবর এশচি বিবিসিকে জানিয়েছেন, তালেবানরা একটি সেনা-ঘাঁটি ছাড়া সব জায়গা দখল করেছে, যদিও সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। দেশটির অন্যান্য অংশেও সহিংসতা বাড়ছে, তালেবান দ্রুত গতিতে বিভিন্ন এলাকা দখলে নিচ্ছে। এতে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
আফগানিস্তানের অধিকাংশ অঞ্চল তালেবানদের দখলে চলে যাওয়ায় এবং পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য তাদের নাগরিকদের দেশটি ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে দেশজুড়ে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ায় তালেবান মোকাবিলা করা সরকারি বাহিনীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও দুটি প্রাদেশিক রাজধানী তালেবানের হামলার মুখে খুবই নাজুক অবস্থায় আছে। এর একটি পশ্চিমের হেরাত এবং অপরটি দক্ষিণের লস্কর গাহ। জারাঞ্জ হচ্ছে ইরান সীমান্তের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক বাণিজ্য কেন্দ্র। এই শহরের চারিদিকের এলাকা দখল করে নেয়ার পর তালেবান আরও সামনে অগ্রসর হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহার করার পর থেকেই তালেবান সেখানে বেশ দ্রুতগতিতে বিভিন্ন এলাকা দখল করতে শুরু করে। তালেবান এরই মধ্যে আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ গ্রামীণ এলাকা দখল করে নিয়েছে। এখন তারা বড় বড় শহর টার্গেট করছে।