চীনের ইউনান প্রদেশের বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশের কৃষিতে ড্রোন পদ্ধতি চালু করতে চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। ইউনান প্রদেশের গভর্নর ওয়াং ইউবোর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ সহযোগিতা চান। আজ রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও পর্যটন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি এদেশে এগ্রিকালচার ড্রোন সিস্টেম চালু করতে সহযোগিতা, ট্রেনারদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, পেস্টিসাইড ম্যানেজমেন্ট ও খাদ্য শস্য উৎপাদনে এক্সপেরিমেন্টাল প্রকল্প গ্রহণের আহবান জানান তিনি।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ ও ইউনান প্রদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে চায়। বাংলাদেশে পর্যটনের সম্ভাবনা ভালো। ইউনানের পর্যটন অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে স্থানীয় পর্যটন বাড়ানোর ক্ষেত্রেও সহযোগিতা চান তিনি। এসময় বাংলাদেশে ট্যুরিজম অবকাঠামো উন্নয়নে এগিয়ে আসতে এবং বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ বাড়াতে ইউনানের গভর্নরের প্রতি আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
চীন বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন চমৎকার উল্লেখ করে ইউনান প্রদেশের গভর্নর ওয়াং ইউবো বলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সাম্প্রতিক চীন সফর বাংলাদেশ চীন সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এর ধারাবাহিকতায় ইউনান প্রদেশ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে তারা আগ্রহী।
তিনি বলেন, ইউনান প্রদেশের অবস্থান বাংলাদেশের নিকটেই। চট্রগ্রাম-কুনমিং ফ্লাইট চালু হলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো গতি পাবে। এসময় তিনি ইউনান প্রদেশের জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের সম্পর্কোন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। গভর্নর বলেন, চীনের ইউনানে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে মৌসুমি ফলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তিনি বাংলাদেশ থেকে আম ও ইলিশ মাছ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ওয়াং ইউবো আরও বলেন, পর্যটকদের কাছে ইউনান প্রদেশ জনপ্রিয় পর্যটন ডেস্টিনেশন হিসেবে পরিচিত। ইউনান প্রদেশে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বছরে সাত শত মিলিয়ন পর্যটক ভ্রমণ করতে আসেন। ইউনান প্রদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়। এসময় তিনি বাংলাদেশের পর্যটনের উন্নয়ন এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির আশ্বাস দেন।
বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান ও ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।