নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। দায়িত্ব পাওয়ার পর রোববার ১১ আগস্ট প্রথমবারের মতো অফিস করেন তিনি। সেদিন ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন। তার সঙ্গে ছিলেন সাতজন বোর্ড পরিচালক। আসন্ন নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়েই ছিল মূল আলোচনা।
সোমবার থেকে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, শুরুতে মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত তরুণ উপদেষ্টার সঙ্গে দাঁড়িয়ে পরিচালকদের পরিচয় করিয়ে দেন বিসিবির সিইও। প্রথমে দাঁড়িয়ে সালাম দিয়ে নিজের পরিচয় দেন পরিচালক কাজী এনাম আহমেদ। একে একে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস, মাহবুব আনাম, খালেদ মাহমুদ, আকরাম খানরা নিজের পরিচয় দেন।
এ দৃশ্য ফেসবুকে ভাইরাল হতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের মন্তব্য দেখা যাচ্ছে। অনেকে বলছেন নতুন উপদেষ্টা আরও বিনয়ের পরিচয় দিতে পারতেন। কেউ কেউ তার মধ্যে অহংবোধ দেখে ব্যথিত হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন।
তবে উপদেষ্টা আসিফের আচরণে খারাপ কিছু দেখছেন না বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘শুরুতে সিইও যখন পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন তখন তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন। এরপর ইনাম প্রথমে দাঁড়িয়ে সালাম দেওয়া শুরু করে। পরে ক্রমানুসারে জালাল ভাই, মাহবুব ভাই, ববি ভাই, আমি আর যারা আছে সবাই সেভাবেই করেছি। নতুন উপদেষ্টা প্রথম দিন অফিসে এসে সবার আগে আমাদের সঙ্গেই মিটিংয়ে বসেছিলেন, এটাই তো বড় সম্মান। এখন এটা নিয়ে উপদেষ্টাকে ব্লেম দেওয়ার কিছু নেই।’
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে বিসিবির শীর্ষ কর্তারা গিয়েছিলেন মূলত অক্টোবরে দেশের মাঠে অনুষ্ঠেয় নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়ে কথা বলতে। আলোচনা শেষে বিসিবি কর্তাদের বিদায় নেওয়ার সময় আসিফ চেয়ার থেকে উঠে হাত বাড়িয়ে দেন হাসিমুখে ৷
নাজমুল হাসান পাপনের অনুপস্থিতিতে বিসিবি কীভাবে চলবে, সে বিষয়ে পরে সংবাদমাধ্যমে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘একটা ফেডারেশনকে চলতে হলে তার সব কটি অর্গান (স্তর) ভালোভাবে কাজ করতে হয়। বিসিবি আইসিসির অধীনে একটা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। তাদের বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। বিসিবির পরিচালক যারা আছেন, তারা আইসিসির বিধিবিধান মেনে কীভাবে বর্তমান পরিস্থিতির সমাধান করা যায়, সেই প্রক্রিয়া শুরু করতে বলা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসেবে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া যায় কি না, সে ব্যাপারে লিগ্যাল প্রসেস শুরু করতে বলা হয়েছে।’