ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও রাতারাতি অবস্থার উত্তরন সম্ভব নয় বলে মনে করছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশাটা যে জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে এখান থেকে আসলে উত্তরণটা কোথায়? শুধুমাত্র একটা নির্বাচন দিয়ে এক দলকে ক্ষমতা থেকে ফেলে আরেক দলকে ক্ষমতায় নিলেও অবস্থার উত্তরণ রাতারাতি সম্ভব হবে না। তার জন্য বেশ কিছু রাজনৈতিক দল তারা বলছে যে আমরা ক্ষমতার সাথে সাথে ক্ষমতার ব্যবস্থার পরিবর্তন চাই।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সংবিধান সংস্কার ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদ’।
নুরুল হক নুর বলেন, শাসনতন্ত্রের আমরা সংস্কার চাই। এই দাবিটা জরালো ভাবে আসছে। আমরা আমাদের আইনজীবি অধিকার পরিষদকে বলেছিলাম যে আপনারা এই বিষয়টা আইনজীবিদের মধ্যথেকে বিষয়টা উঠান, তাদের মতামতটা আসুক। আজকের এই প্রোগ্রামে আমি স্পেসেফিকভাবে বলেছিলাম যে রানিং অ্যাটর্নি জেনারেল কিংবা দু-একজন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলবেন। কারণ এটা দলিয় প্রোগাম না। আমরা চাচ্ছি যে সবার অপেনিয়নটা উঠে আসুক।
তিনি আরও বলেন, আমি অনেকে সাথে একমত পোষণ করে বলতেছি এটা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট প্রত্যেকটা বিবেক সম্পন্ন মানুষের কাছে স্পষ্ট যে বর্তমান সরকার ক্ষমতাকে এমনভাবে কুক্ষিগত করেছে যে সমস্ত জায়গায় এমনভাবে দলিয়করণ করেছে একে ফেলে কালকে যদি আরেকজনকে চেয়ারে বসিয়ে দেন সেও একই চর্চায় এগিয়ে যাবে। এই জায়গা থেকে আমাদের কনসার্নটা যে আমরা এই সরকারের পরিবর্তন চাই, সাথে সাথে এই সরকার গত ১৩ বছরে সিস্টেমেটিক যেই ধরনের শাসন ব্যব্যস্থা রাষ্ট্রের বিভিন্ন রন্ধে রন্ধে ঢুকিয়েছে সেটারও একটা পরিবর্তন চাই।
নুর বলেন, আজকে আর কাউন্সিলের কথা বলা হয়েছে। বার কাউন্সিল একসময় একটা সম্মানজনক সংগঠন ছিল। সেই সংগঠনের নির্বাচনে আমরা দেখেছি রুমের তালা ভেঙে নির্বাচনি ফলাফলকে ছিনতাই করার একটা অপচেষ্টা পাল্টে দেওয়ার একটা অপচেষ্টা এটা খুবই দুঃখজনক। এবং আমি মনে করি এটা সিনিয়র আইনজীবি থেকে শুরু করে সমস্ত আইনজীবিদের জন্য একটা লজ্জাজনক বিষয়।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ডক্টর রেজা কিবরিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী প্রমুখ।


