আসন্ন দুর্গোৎসবে খুলনা মহানগরের সব মন্দির পাহারায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সমন্বয়ে পৃথক পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা ও সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিনের নেতৃত্বে পূজা মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে মহানগরের কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে মহানগর বিএনপির জরুরি সভায় কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও মহানগর সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় মহানগর বিএনপির জরুরি সভায় বক্তব্য উপস্থিত ছিলেন স ম আ রহমান, বেগম রেহেনা ঈসা, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, শেখ সাদি, কে এম হুমায়ূন কবির (ভিপি হুমায়ূন), শেখ জাহিদুল ইসলাম, মো. মুরশিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ ইমাম হোসেন, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট চৌধুরী তৌহিদুর রহমান তুষার, একরামুল কবীর মিল্টন, আহসান উল্লাহ বুলবুল, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী বাবু, শেখ জামাল উদ্দিন, আফসার উদ্দিন, আনসার আলী, আব্দুস সালাম প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ফ্যাসিবাদ আর নাৎসীরা কখনোই রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে পুনর্বাসন হতে পারে না। মুসোলিনি আবার ফিরে আসেনি ইতালিতে, হিটলার আবার পুনর্বাসিত হয়নি জামানিতে। সুতরাং কোনোভাবেই মাফিয়া-নাৎসী-ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন বাংলাদেশে হবে না। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সারা দেশে প্রায় দুই হাজার লোকের জীবন কেড়ে নিয়েছে পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার। সেই আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো প্রশাসনে রয়েছে। যারা হাসিনাকে রক্ষা করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছেন, তারাই ক্ষমতায় রয়ে গেছে। তাই ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের সরকারের বিভিন্ন পদ থেকে অপসারণে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানান।
সভা থেকে সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ১৫ অক্টোবরের পর থেকে নগরের অসমাপ্ত ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ ছাড়া খুলনা মহানগর বিএনপির মধ্যে যাতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসররা প্রবেশ না করতে পারে সেলক্ষ্যে সবাইকে সর্তক থাকার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ফ্যাসিস্টদের সাথে সখ্য গড়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।