সৈকত মো. সোহাগ
মরিচ মসলা জাতীয় ফসল। এতে রয়েছে ভিটিামিন সি ও পুষ্টিগুন। জাত ভেদে প্রতিশতকে ফলন ৪০-৪৫কেজি। মরিচ শুকানোর পর ছায়াযুক্ত স্থানে রেখে ঠান্ডা করতে হয়। নিরাপদ পাত্রে সংরক্ষণ সংরক্ষণ করা হয়। যাতে অনেক দিন ভালো থাকে। খুলনা কৃষি অঞ্চলে চলতি রবি মৌসুমে মরিচ উৎপাদন বাম্পার হয়েছে। আবাদ কম হলেও ফলন ভালো হয়েছে। এ মৌসুমে উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ২৯৬০ টন। কৃষক ভালো দামে বিক্রি করছেন। সূত্র জানিয়েছেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের ৪ জেলায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২৭৩ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ১২৪৫ হেক্টর। কম আবাদ হয়েছে ২৮হেক্টর। মৌসুম শুরু হওয়ার সময় বৈরী আবহাওয়া থাকার কারণে আবাদ একটু কম হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন বাম্পার হয়েছে। ফসল কর্তন চলমান রয়েছে। কৃষি অঞ্চলের মধ্যে খুলনা জেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩৭ হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে ২৪৬ হেক্টর। উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ৫৯৩ টন। বাগেরহাট জেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৯১ হেক্টর । আবাদ করা হয়েছে ৩৬৮ হেক্টর। উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ৯৪৮ টন।
সাতক্ষীরায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪২০ হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে ৪০৪ হেক্টর। উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ৭৯৮ ও নড়াইলে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২২৫ হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে ২২৭ হেক্টর। উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ৬২১ টিন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহন কুমার ঘোষ বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। লক্ষ্যমাত্র পূরণ হবে। বসত বাড়ির আঙ্গিনায় মচির গাছ লাগানো যেতে পারে। কেউ ২০টি গাছ লাগালে তার সরা বছর মরিচ কেনা লাগে না। পানের বরজেও সারা বছর মরিচ হয়।
এ মরিচের রয়েছে সুগন্ধ। তিনি সকলকে মরিচ গাছ লাগানোর আহবান জানান। মরিচ শুকানোর পর ছায়াযুক্ত স্থানে ঠান্ডা করতে হবে। ৬ মাস হতে ১ বছর পর্যন্ত মরিচ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে টিনের পাত্র, পলিব্যাগ, মাটির পাত্র, ভুলি বা বস্তার ব্যাগ ব্যবহার করা হয়। মোটা পলিথিনের ব্যাগ ও টিনের পাত্রে পলিথিন দিয়ে মরিচ রাখলে রং ও গুনগত মান ভাল থাকে। সংরক্ষিত মরিচ মাঝে মাঝে রোদে দিলে ভাল থাকে। মরিচ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বোটা যেন মরিচ থেকে আলাদা না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে।