বাংলা জ্যৈষ্ঠ মাস শুরু হতে দুই দিন বাকি থাকতেই খুলনা শহর ও এর আশপাশের বাজারসহ স্থানীয় বাজারে আসতে শুরু করেছে রসালো ফল লিচু ও আম।
সুস্বাদু গ্রীষ্মকালীন ফলমূলে এখন মুখরিত খুলনার ফলের দোকানগুলো। শহরের বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় বাম্পার উৎপাদনে লিচু ও আমের দাম ক্রেতাদের হাতের নাগালে।
আজ নগরীর বেশ কয়েকটি ফল খুচরা বিক্রেতা পরিদর্শনকালে আমাদের প্রতিবেদক দেখতে পান, বিভিন্ন জাতের আম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। নগরীর বিভিন্ন অস্থায়ী বাজার ও ফলের দোকান থেকে আম ও লিচু ক্রয় করতে দেখা যায়।
মানিক ফল ভান্ডারের (মানিক ফ্রুট স্টোর) মালিক আসাদুজ্জামান মানিক জানান, গোবিন্দ ও গোপালভোগ আমের দাম প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গোপালভোগ বাজারে না পাওয়ায় দাম একটু বেশি।
মানিক জানান, সরবরাহ বৃদ্ধির সাথে সাথে এক সপ্তাহের মধ্যে দাম কমবে, এই বছর তীব্র তাপপ্রবাহ একটি চ্যালেঞ্জ ছিল, তবে এটি দামের উপর প্রভাব ফেলবে না।
মৌসুমী ব্যবসায়ীরা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বিশেষ করে বোরো বাজার, ক্লে রোড, কেসিসির সন্ধা বাজার (সন্ধ্যার রান্নাঘরের বাজার) ডাকবাংলা, পিকচার প্যালেস মোড়, ময়লা পোতা মোড়, পশ্চিম মাকওয়াত রোড, গল্লামারী, রূপসা বাজার, ভৈরব স্ট্যান্ড রোড, মোড়ে অস্থায়ী দোকান বসিয়েছেন। কালিবাড়ি রোড, কেডি ঘোষ রোড, নিউমার্কেট এলাকা, খালিশপুর ও দৌলতপুরের রান্নাঘরের বাজারে চোখ ধাঁধানো ফল।
এদিকে চায়না-থ্রিসহ বিভিন্ন জাতের লিচু ন্যায্যমূল্যে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
ডাকবাংলা ক্লে রোডের ‘ভাই ভাই ফল ভান্ডার’ (ভাই ভাই ফলের দোকান) মালিক আব্দুল মমিন বলেন, “প্রতি ১০০ টি দেশি লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় এবং চায়না-৩ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা থেকে। মানের উপর ভিত্তি করে ৫০০ টাকা।
বোম্বাই ও বেদানা লিচু ৫ থেকে ৬ দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে এবং প্রথম দিকে সরবরাহ কম দাম বেশি থাকলেও পর্যাপ্ত সরবরাহের পর দাম কিছুটা কমবে বলে জানান তিনি।
বড় বাজার এলাকার ব্যবসায়ী মামুন হোসেন জানান, বেশি টাকা পাওয়ার আশায় অনেক কৃষক অপরিপক্ব লিচু চাষ করছেন। লিচুর দামে সন্তোষ প্রকাশ করেন শিপ্রা রায় নামের এক ক্রেতা।
আরেকজন গ্রাহক, শুভ খান, একজন ব্যাংকার বলেন, “মূল্য সন্তোষজনক আছে, প্রচুর পরিমাণে ফলের মজুদ রয়েছে। আমি আশা করি আরো ফল বাজারে উঠলে দাম কমবে।”