অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে এলাকার মানুষ। এতে সব চেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে কৃষি সম্পাদের।
এই দুর্যোগে খুলনা কৃষি অঞ্চলের ৪ জেলায় ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। ২২-২৬ আগস্ট পর্যন্ত এই ৫ দিনে এই ক্ষতি হয়। ক্ষতির মুখে পড়েছে ১২৮৬১ কৃষক। এতে ৮৪২.৩ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে উঠতি ফসল রয়েছে অনেক। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে পুরোদমে আবারো কৃষি আবাদ করা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। চেষ্টা করছেন ঘুড়ে দাড়াবার।
সূত্র জানিয়েছেন, এই ফসলের মধ্যে অনেক রয়েছে গ্রীষ্মকালিন। ফসল উঠতে বর্ষাকাল এসে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের মধ্যে রয়েছে। আমন বীজতলা ২৮৪৫ জন কৃষকের ১৩৬ হেক্টর। যার ক্ষতি ৬৮.৬০০০০ টাকা। রোপা আমন ২৯৮০ জন কৃষকের ১৫৭৩ হেক্টর। যার ক্ষতি ৬১১ লাখ টাকা। আউশ ৪৩০ জন কৃষকের ২৫ হেক্টর। ক্ষতি ৩০ লাখ।
সবজি ৪৭২৬ জন কৃষকের ১৪৪ হেক্টর। ক্ষতি ৫ কোটি ৩৭ লাখ। মরিচ ৫৮১ কৃষকের ২৮ হেক্টর। ক্ষতি ৬ কোটি ৪৬ লাখ। তরমুজ ২৬৬ জন কৃষকের ৪৮ হেক্টর। ক্ষতি ৪ কোটি ৪৯ কোটি। পেয়াজ (গ্রীষ্ম) ৭ জন কৃষকের ১ হেক্টর। ক্ষতি ১ লাখ টাকা। শিম (গ্রীষ্ম) ১১০ জন কৃষকের ১০ হেক্টর। ক্ষতির পরিমান ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। টমেটো (গ্রীষ্ম) ৩০ জন কৃষকের ৩ হেক্টর। ক্ষতি ৩৮ লাখ টাকা। কলা ৪৫ জন কৃষকের ৩ হেক্টর। ক্ষতি ১৩ লাখ টাকা। পেঁপেঁ ৯০ জন কৃষকের ৫ হেক্টর। ক্ষতি ৩১ কোটি টাকা। আঁদা ৮ জন কৃষকের ১৮ হেক্টর। ক্ষতি ২৭ লাখ টাকা। হলুদ ১৫ জন কৃষকের ২ হেক্টর। ক্ষতির পরিমান ২৮ লাখ টাকা ও পান ৮৩ জন কৃষকের সাড়ে ৫ হেক্টর। ক্ষতির পরিমান ১ কোটি ৯৪ লাখ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক বিভাস চন্দ্য সাহা বলেন, কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া ও পুনর্বাসন করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রণোদনার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় আবেদন পাঠানো হয়েছে। আগাম রবি ফসল আবাদ করার জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বীজ বিতরণ করা হয়েছে।