পাট, পাটজাত পণ্য ও চিংড়ি রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে খুলনা থেকে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানিয়েছে, নতুন বাংলাদেশের গৌরবময় ভাবমূর্তি ও বৈশ্বিক অর্থনীতির উন্নতির ফলে এ রপ্তানি বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে।
ইপিবি’র তথ্য অনুযায়ী, জুলাই ২০২৪ থেকে জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত খুলনার রপ্তানিকারকরা ৩,৪৮৩.২৪ কোটি টাকা আয় করেছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭৮০.৪৫ কোটি টাকা বেশি। এই সময়ে মোট ১৩,০১৯.৮০ টন হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি করে আয় হয়েছে ১,৯৯০.৩৯ কোটি টাকা।
এছাড়া সাদা মাছ, কুচিয়া, কাঁকড়া, সবজি, কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানিও বেড়েছে।
খুলনা ইপিবি’র পরিচালক জীনাত আরা বাসসকে বলেন, “বৈশ্বিক অর্থনীতির উন্নতি, বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতিশীল অবস্থা এবং বাংলাদেশের গৌরবময় ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের ফলে রপ্তানি বেড়েছে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “গত বছর বিভিন্ন কারণে, বিশেষ করে সরকারি পাটকল বন্ধের কারণে, খুলনা থেকে রপ্তানি কমে গিয়েছিল।”
টেক্সটাইল ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিনের সাম্প্রতিক সফরের কথা উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, খুলনা পাট রপ্তানিতে তার পূর্বের গৌরব পুনরুদ্ধার করবে।
সরকার বন্ধ পাটকলগুলো বেসরকারি খাতে ইজারা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে, যা সেগুলো পুনরায় চালুর পথ সুগম করবে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিকারক সমিতির পরিচালক তারিকুল ইসলাম জহির বলেন, “খুলনার ব্যবসায়ীরা আশা করছেন যে, চিংড়ি, পাট, পাটজাত পণ্য এবং অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে, কারণ দেশে পরিবেশবান্ধব ব্যবসার পরিবেশ বিরাজ করছে।”
খুলনায় ৬৩টি চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা ছিল। এর মধ্যে ৩৩টি কারখানা আগের বছরগুলোতে উৎপাদন ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে বন্ধ ছিল।
বাংলাদেশ পাট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সহ-সভাপতি ও পাট ব্যবসায়ী শরীফ ফজলুর রহমান বলেন, “খুলনায় কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বিশ্ব বাজারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা এ অঞ্চলের জন্য উজ্জ্বল সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।”
পূর্ববর্তী সরকারের নীতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “পতিত সরকার দেশের পাট খাতকে ধ্বংস করেছে।”
বাসস