খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে ভবিষ্যতে কেমন দেখতে চাওয়া যায়, সে বিষয়ে একটি সেমিনার আজ (রবিবার) সকালে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ও কেসিসি’র প্রশাসক মোঃ ফিরোজ সরকার।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, “খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের একটি অন্যতম সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান শুরু থেকে আজ পর্যন্ত সুনামের সঙ্গে শিক্ষাকার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট রয়েছে। এটি শুধু বড় বড় বিল্ডিং এবং ইমারত দিয়ে তৈরি হয়নি, বরং প্রতিবছর সুনামের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা তাদের একাডেমিক কার্যক্রম শেষ করে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য পর্যাপ্ত আবাসিক হলের সুবিধা থাকা অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া ভারী বৃষ্টির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়, এবং এর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা আরও উন্নত হওয়া প্রয়োজন। প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহণ করতে হতে পারে।”
তিনি যোগ করেন, “দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তরুণ প্রজন্মকেই হাল ধরতে হবে এবং সুন্দর পরিবেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য আমাদের প্রত্যেকের নিজের জায়গা থেকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাস এবং খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আশিক উর রহমান।
এছাড়া, স্বাগত বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন। সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন খুলনা সিভিল সোসাইটি’র সভাপতি এস এম শাহনওয়াজ আলী, এবং সঞ্চালনা করেন ইউএনবির খুলনা প্রতিনিধি শেখ দিদারুল আলম। বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সিভিল সোসাইটি’র সদস্য সচিব মহেন্দ্রনাথ সেন।
খুলনা সিভিল সোসাইটি এই সেমিনারের আয়োজন করে, যেখানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সমাজকর্মী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।