কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে। চার মাস ২৬ দিন পরে বাক্স খোলার পর ১২ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।টাকাগুলো গণণা শুরু হয়েছে।
শনিবার (১৯ জুন) সকালে মসজিদের ৮টি দানবাক্স খোলা হয়। এরপর শুরু হয়েছে দিনব্যাপী টাকা গণনার কাজ।
টাকা গণনা কাজ তদারকি করছেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা মাজিস্ট্রেট (এডিএম) ফরিদা ইয়াসমিন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ, মো. ইব্রাহীম, মাহামুদুল হাসান, মো. উবায়দুর রহমান সাহেল ও পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দিন ভূঞা প্রমুখসহ আরো অনেকেই।
সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। এবার করোনা ভাইরাসের কারণে ৪ মাস ২৬ দিন পর মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে।
টাকা গণনা শেষে বিকেলে কতো টাকা পাওয়া গেলো তার হিসাব পাওয়া যাবে।
এর আগে সর্বশেষ চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে গণনা করে দুই কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা পাওয়া যায়। এ ছাড়াও স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন। দানবাক্সে পাওয়া টাকা সাধারণত কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলদের পরামর্শে বিভিন্ন মসজিদে দান-খয়রাত, মাদ্রাসার উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়ে থাকে।