ক্রমাগতভাবে উষ্ণতা বাড়ছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ মেক্সিকোতে। সেখানকার অনেক জায়গায় এখন জীবনযাপন অসহনীয় হয়ে পড়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কোলারাডো নদী এক সময় যুক্তরাষ্ট্র থেকে মেক্সিকোর ভেতর দিয়ে সাগরে পড়ত। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সেই চিত্র পাল্টে গেছে। বেশ কয়েক বছর হলো নদীটি সাগরে পৌঁছানোর অনেক আগেই শুকিয়ে গেছে। ফলে এই নদীতে মাছ ধরে যেসব জেলে জীবনযাপন করতেন, তাদের জীবিকা ঝুঁকিতে পড়েছে।
শুধু ওই নদীরই যে দুরবস্থা তা নয়, উষ্ণতা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় মেক্সিকোর অনেক শহরে জীবনযাপন অসহনীয় হয়ে পড়েছে।
বিবিসির লাইফ অ্যাট ফিফটি সিরিজ অর্থাৎ ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় জীবনযাপনের ওপর করা সিরিজ রিপোর্টের অংশ হিসাবে রিপোর্টার আলেহান্দ্রা মার্টিনস গিয়েছিলেন মেক্সিকোতে কোলারাডো নদীর হাল দেখতে।
স্থানীয় বাসিন্দা ইনোসেন্সিয়া বলেন, নদীর পানির এই পরিণতির জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্র। তারা পানির হিস্যা বেশি নিয়ে নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যখন কোলারাডো মরে গেল, তখন এলাকার সবাই কেঁদেছে। মাছ শেষ হয়ে গেছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, নদীর পানির যা প্রাপ্য, তাই মেক্সিকোকে দেওয়া হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পুরো অঞ্চলটির উষ্ণতা বেড়েই চলেছে। নদীটির কাছের মেক্সিকালি শহরে গরমের জরুরি এক পরিস্থিতিতে পুলিশকে ছুটতে হচ্ছে।
পুলিশ বলছে, গরমের কারণে একজন রাস্তায় পড়েছিল। স্বাস্থ্যকর্মীরা পানি খাওয়ানোর পর তিনি সুস্থ হয়ে যান।
এই গরমের কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন মেক্সিকোর গৃহহীন ও গরিব মানুষরা। এই গ্রীষ্মে বাহা ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে গরমে অন্তত ৪২২ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মেক্সিকালি শহরে মারা গেছেন ২৭ জন।
এদিকে, মেক্সিকোর ভাদো কারানজায় অসম্ভব এক ঘটনা ঘটেছে। আন্দোলনের পর যুক্তরাষ্ট্র গ্রীষ্মে নদীতে ৪৩ মিলিয়ন ঘনফুট পানি ছেড়েছে।