গাজার পর পশ্চিম তীরে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের দক্ষিণে অবস্থিত সিলওয়ান শহরের আল-বুস্তান পাড়ায় ইসরায়েলি বাহিনী দুটি ভ্রাম্যমাণ বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
ওয়াফা সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, তিন মাস আগে একই এলাকায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাদের বাড়ি ভেঙে ফেলার পর দুটি পরিবারের ১০ ফিলিস্তিনি ওই ভ্রাম্যমাণ বাড়িতে বাস করতেন। হেবরন ও নাবলুসে ইসরায়েলি অভিযানের ধারাবাহিকতার মধ্যে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে, যেখানে আরও সামরিক যানবাহন মোতায়েন করা হয়েছে।
গাজার মতো সেখান থেকেও ফিলিস্তিনিদের উৎখাতের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে ভেবে আতঙ্কে আছেন সেখানকার অধিবাসীরা। বর্তমানে কার্যত ফাঁকা করে ফেলা হয়েছে জেনিন শরণার্থী শিবির। এর বড় এলাকা বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করেছে ইসরায়েল। প্রশস্ত জনাকীর্ণ ওই এলাকার মধ্য দিয়ে তারা রাস্তা তৈরি করছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সেখানে দীর্ঘ মেয়াদে থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দীর্ঘ ১৫ মাসের যুদ্ধের পর যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েল। তবে ওই চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার এক দিন পরই পশ্চিম তীরে অপারেশন পরিচালনা শুরু করে ইসরায়েল।
এদিকে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার মার্কিন পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে মিসর। দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তা আল সিসি মঙ্গলবার আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করা হলে তাতে ওই অঞ্চলের দেশগুলোর জাতীয় নিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে। তিনি এই হুমকি এড়ানোর পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজাবাসীকে নিয়ে যে পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন, তাতে আরব বিশ্ব ক্ষুব্ধ।
ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস তাদের কাছে আটক চার জিম্মির মরদেহ অবিলম্বে ফেরত দিলে ৬০২ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। সোমবার গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতাকারীদের এমনটাই জানিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েল ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে তাঁবু এবং মোবাইল হোমের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ পরিস্থিতিতে ঠান্ডা আবহাওয়া ও গরম করার ব্যবস্থার অভাবে গাজায় এক রাতে কমপক্ষে ছয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। খবর আলজাজিরা ও রয়টার্সের