আইসিসির নিয়ম মেনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) নতুন অন্তবর্তীকালীন সভাপতি নিয়োগ দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। দায়িত্ব পাওয়ার পর রোববার প্রথম কার্যালয়ে যান তিনি। সেখানে বিসিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
বিসিবির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করলে পাপনসহ ২৪ জন বোর্ড পরিচালকের অধিকাংশ গা ঢাকা দিয়েছেন। বোর্ড পরিচালনার জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকার একটি এড-হোক কমিটি গঠন করে দিতে পারে। আইসিসি ওই কমিটির অনুমোদন দেবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
এর আগে ২০০৭ সালে অন্তবর্তীকালীন সরকার এড-হোক কমিটি গঠন করে দিয়েছিল। আইসিসির নিয়মে এমন কমিটি গঠনে বাধা নেই। তবে ওই কমিটির ওপর সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। যদি সরকারের হস্তক্ষেপের কোন অভিযোগ ওঠে আইসিসি তা খতিয়ে দেখবে এবং বিসিবিকে নিষিদ্ধের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডকে আইসিসি হস্তক্ষেপের অভিযোগে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে গত জানুয়ারি পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছিল।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ জানিয়েছেন, বিসিবির কার্যক্রমে তারা কোন হস্তক্ষেপ করবেন না। কারণ এটি একটি স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। তবে দুই পক্ষ পরামর্শ আদান-প্রদান করবে, ‘বিসিবি সভাপতিকে পাওয়া যাচ্ছে না। একটি প্রতিষ্ঠান চালাতে এর প্রধানকে দরকার। তার অনেক দায়-দায়িত্ব থাকে। বিসিবি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। আমরা তাদের ওপর কোন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেব না। কেবল পরামর্শ আদান-প্রদান করবো। আমরা বোর্ড পরিচালকদের আইসিসির নিয়মের মধ্যে থেকে সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দিয়েছি।’
আগস্টে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর আছে। এছাড়া অক্টোবরে বাংলাদেশে নারীদের বিশ্বকাপ হওয়ার কথা। বোর্ড ঠিকঠাক পরিচালিত না হলে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ওই আসরটি ঠিকঠাক আয়োজনের শঙ্কা রয়েছে।