টানা চার ম্যাচে হেরে আগেই সিরিজ হাতছাড়া হয়েছিলো বাংলাদেশ নারী দলের। আজকের ম্যাচটি ছিল কেবলই নিয়মরক্ষার। ঘরের মাঠে সেই ম্যাচেও পরাজয় জুটেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দলের ভাগ্যে। ৫ ম্যাচের সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে ২২ রানের ব্যবধানে হেরেছে স্বাগতিকরা। তাতে ভারত নারী দলের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদের মেয়েরা।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ বলে ৩৭ রান করেন হেমলতা।
জবাবে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ বলে ৩৭ রান করেছেন রিতু মণি।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আরও একবার ব্যর্থ বাংলাদেশি টপ অর্ডার। আক্রমণাত্মক শুরু করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আজ ইনিংস ওপেন করতে নামা সোবহানা মোস্তারি। ৩ বাউন্ডারিতে ৯ বলে ১৩ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। আরেক ওপেনার দিলারা ৮ বলে করেছেন ৪ রান।
তিনে নেমে রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন। তবে সময়মতো গিয়ার পরিবর্তন করতে পারেননি। ধীর গতির ইনিংস খেলে ফিরেছেন ২১ বলে ২০ রান করে। চারে নেমে সুবিধা করতে পারেননি জ্যোতি। ১৪ বল খেলে মাত্র ৭ রান করেছেন অধিনায়ক।
শেষদিকে রিতু মণি ও শরিফা খাতুন কিছুটা লড়াই করেছেন। তবে তা কেবলই হারের ব্যবধান কমিয়েছে। দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। রিতু ৩৩ বলে করেছেন ৩৭ রান। আর শরিফা ২১ বলে করেছেন অপরাজিত ২৮ রান।
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১৫৭ রান
এর আগে দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মার ব্যাটে দারুণ শুরু পায় ভারত। তবে শেফালি এদিন উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৪ বলে ১৪ রান করে শেফালি সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ২৫ রানের উদ্বোধনী জুটি।
শেফালি ফিরলেও তার প্রভাব রান রেটে পড়তে দেননি হেমলতা। উইকেটে এসেই শট খেলেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। স্মৃতির সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩৭ রান যোপগ করেন হেমলতা। ২৫ বলে ৩৩ রানে থামেন স্মৃতি। আর হেমলতার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৭ রান।
রানের দেখা পেয়েছেন হারমানপ্রীত কৌরও। ২৪ বলে ৩০ রান করেছেন ভারত অধিনায়ক। শেষদিকে উইকেটে এসে ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন রিকা ঘোষ। ১৭ বলে অপরাজিত ২৮ রান করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন রাবেয়া খান ও নাহিদা আক্তার। তাছাড়া একটি উইকেট পেয়েছেন সুলতানা খাতুন।