করোনাকালে সবার ঘরেই পালস অক্সিমিটার রাখা জরুরি। যেকোনো সময় শরীরের অক্সিজেন লেভেল কমে যেতে পারে। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপে জন্য পালস অক্সিমিটারের ব্যবহারের ক্ষেত্রেও আছে কয়েকটি নিয়ম।
করোনা আক্রান্ত রোগীর রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ ওঠা-নামার উপর নির্ভর করেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ এর নিচে নামলে দ্রুত হাসপাতালে নিবে হবে করোনা রোগীদের।
বর্তমানে হাসপাতালগুলো পর্যাপ্ত অক্সিজেন না থাকায় কম লক্ষণযুক্ত করোনা রোগীদেরকে বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে আসছে চিকিৎসকরা। এ সময় পালস অক্সিমিটার ব্যবহার করবেন কীভাবে তা জেনে নিন-
>> নখে নেলপালিশ থাকলে শুরুতেই তা মুছে ফেলতে হবে।
>> বেশি লাইট বা রোদেরে মধ্যে পালস অক্সিমিটার ব্যবহার করলে সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে না।
>> পালস অক্সিমিটার ব্যবহারের সময় হাতের আঙুল ঠান্ডা থাকলে, তা ঘষে গরম করতে হবে।
>> পালস অক্সিমিটার ব্যবহারের আগে ৫ মিনিট বিশ্রাম নিন।
>> এরপর পালস অক্সিমিটার এর সুইচ অন করে, সেটিকে আঙুলের ডগায় রাখুন।
>> প্রথমে পালস অক্সিমিটারের স্ক্রিনে কিছু সংখ্যা উঠবে। সঠিক পরিমাপের জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। যতক্ষণ না মিটারের সংখ্যা স্থির হচ্ছে; ততক্ষণ অপেক্ষা করুন।
>> অন্তত ৫ সেকেন্ড রিডিং স্থির থাকলে সর্বোচ্চ সংখ্যাটি লিখে নিন।
>> পালস অক্সিমিটার ব্যবহারে প্রতিবার মিটারে নজর রাখুন।
>> বেসলাইন থেকে রেকর্ড করা শুরু করুন। দিনে তিন বার মাপুন।
>> রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ ৯৪ এর উপরে থাকলে ভালো যদি থাকে, তাহলে 4-5টি বালিশে মাথা রেখে পেটের উপর ভর দিয়ে শোয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
করোনা রোগীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো, পালস অক্সিমিটারের সাহায্যে নিয়মিত রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ মাপা। রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ যেন কখনই ৯৪ শতাংশের কম না হয়।
এ ছাড়াও করোনা রোগীদের ৬ মিনিট হাঁটার আগে ও পরে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ মাপার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। হাঁটার আগে ও পরের পরিমাপে ৪ শতাংশের বেশি পার্থক্য থাকলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হতে পারে।