চীনের বাণিজ্যিক অঞ্চল সাংহাইতে ৭০ বছর পর শক্তিশালী টাইফুন ‘বেবিনকা’ আঘাত হেনেছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে এটি ব্যাপক শক্তি নিয়ে সরাসরি আঘাত হানে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ১৫১ কিলোমিটার গতিতে টাইফুনটি আঘাত হেনেছে। এর আগে ১৯৪৯ সালে টাইফুন গ্লোরিয়া আঘাত হেনেছিল। ৭০ বছর পর সবশেষ বেবিসকা আঘাত হেনেছে। আঘাত হানা সাংহাই শহরে প্রায় আড়াই কোটি লোকের বসবাস।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাংহাইতে সরাসরি শক্তিশালী টাইফুনের আঘাত অত্যন্ত দুর্লভ বিষয়। চীনের দক্ষিণাঞ্চলে সাধারণত এমনটি হয়ে থাকে। এর আগে গত সপ্তাহে চীনের হাইনান প্রদেশে সুপার টাইফুন ইয়াগি আঘাত হানে।
রয়টার্স জানিয়েছে, টাইফুনের কারণে রোববার থেকে সাংহাইয়ের দুটি বিমানবন্দরের ফ্লাইট চলাচল বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া শহরের একাধিক স্টেশনে রেলসেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। দেশটিতে এমন সময়ে এ টাইফুন আঘাত হেনেছে যখন, শরৎ উৎসবের জন্য তিন দিনের ছুটি চলছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাইফুনের ফলে রিসোর্ট, পার্ক ও চিড়িয়াখানা বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ফেরি চলাচলও স্থগিত রাখা হয়েছে।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় চীনের হাইনান দ্বীপের উত্তর-পূর্বে ২৩০ কিলোমিটারেরও বেশি বেগে আঘাত হেনেছে সুপার টাইফুন ইয়াগি। এই বছরে এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী এই ঝড় চীনের হাইনান প্রদেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে।স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, ‘শক্তিশালী টাইফুন ইয়াগি ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়াসহ হাইনানে আঘাত হেনেছে। তীব্র ঝড়ে অনেক গাছপালা উপড়ে গেছে এবং এর জন্য প্রায় চার লাখ ৬০ হাজার লোককে অন্যত্র সরিয়ে নিতে হয়েছে।
স্থানীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, সুপার টাইফুন ইয়াগির আঘাতের ফলে হাইনান দ্বীপ পুরোপুরি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ৮ লাখ ৩০ হাজার বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।হাইনান দ্বীপে আঘাত হানা টাইফুন ইয়াগি ২০১৪ সালে আঘাত হানা টাইফুন ‘রাম্মাসুনের’ চেয়ে অনেক শক্তিশালী। ওই সময়ে এই ঝড়ের আঘাতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়।