করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারে মডার্নার তৈরি টিকার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট পাঁচটি টিকার অনুমোদন দিল সংস্থাটি।
গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও বলেছে, জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুততম সময়ে যত বেশি সম্ভব ওষুধ, টিকা ও ডায়াগনস্টিক সহজলভ্য করাই তাদের লক্ষ্য।
সংস্থাটির সহকারী মহাপরিচালক মারিয়াঞ্জেলা সিমাও বলেছেন, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে টিকা সরবরাহে সমস্যা তৈরি হয়েছে। এ কারণে আরও বেশি টিকা সহজলভ্য করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণের মুখে গত মার্চ থেকে বিদেশে টিকা রফতানি বন্ধ রেখেছে ভারত।
এ অবস্থায় চলতি সপ্তাহে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি মডার্না ঘোষণা দিয়েছে, ২০২২ সালের মধ্যে তারা ৩০০ কোটি ডোজ পর্যন্ত টিকা উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।
গত জানুয়ারিতেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকাদান সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ গ্রুপ (এসএজিই) ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে মডার্নার টিকা ব্যবহারের সুপারিশ করেছিল।
মডার্নার মতো এমআরএনএ প্রযুক্তিতে তৈরি ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা গত বছরের শেষদিকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ডব্লিউএইচও।
এরপর থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা-এসকে বায়ো, সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার নাম ওই তালিকায় যোগ করেছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাটি।
চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের টিকার বিষয়টি এখনো পর্যালোচনা করছে ডব্লিউএইচও। আগামী সপ্তাহের শেষদিকে এর সিদ্ধান্ত আসতে পারে।