জাতিসংঘে চীনের সদস্য পদের ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৃহত্তর বৈশ্বিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার ( ২৫ অক্টোবর) বেইজিংয়ে ভাষণ দেন তিনি। সে সময় সন্ত্রাসবাদ নির্মূল, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও সাইবার নিরাপত্তার বিষয়সহ বহুপাক্ষিক সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন এই চীনা প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসির। 

তবে তাইওয়ান সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি শি জিনপিং। ১৯৭১ সালে চীন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য পদ লাভের পর তাইওয়ান সদস্য পদ হারায়।

শুরু থেকেই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে আসছে চীন। যদিও নিজেদের স্বতন্ত্র বলে দাবি তাইওয়ানের। কয়েক মাস ধরেই চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

চীন জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হলেও ১৯৭১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র এর পদ স্থগিত করে রেখেছিল। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আরও বলেন, জাতিসংঘে চীনের বৈধ প্রতিনিধির স্বীকৃতি পাওয়াটা শুধু চীনের নয় বরং বিশ্বের সব মানুষের জয়।

২০১৮ সালে জাতিসংঘের বৃহত্তম দাতা দেশগুলোর কাতারে চলে আসে চীন। জাতিসংঘে ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে জিডিপির ৭ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২ শতাংশ অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দেশটি। অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যেখানে ২২ শতাংশ দেয়, সেখানে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন এবং তৃতীয় অবস্থানে থাকা জাপানের অনুদান ৯ দশমিক ৭ শতাংশ।

সম্প্রতি সংগঠনটির শীর্ষ পদে জায়গা পাচ্ছেন চীনের নাগরিকরাও, যেমন ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের ( এফএও) প্রধান হয়েছেন এক চীনা নাগরিক।

সম্প্রতি তাইওয়ানকে নিয়ে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। এছাড়া দেশটির জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতনের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে চীনের বিরুদ্ধে।