আজ ১৬ জুন ২০২৪ খ্রিঃ, ০২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, রবিবার বেলা ১২.৩০ ঘটিকায় আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে খুলনা মহানগরীর খুলনা থানাধীন জোড়াগেইট এলাকায় অবস্থিত গরুহাটের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা সরেজমিনে পরিদর্শন ও সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।
কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মহোদয় জোড়াগেইট এলাকায় অবস্থিত গরুহাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন এবং সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ কালে বলেন, “খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ অপরাধ দমন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং নগরবাসীর সেবায় সদাসর্বদা তৎপর। পবিত্র ঈদ-উল-আযহাকে ঘিরে কোন অপশক্তি যাতে কোন প্রকার নাশকতামূলক কর্মকান্ড সম্পাদন করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক 999 ফোন দেওয়া, মোবাইল টিমকে জানানো, কেএমপি কন্ট্রোলে জানানোসহ খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মোবাইল ফোনে অবগত করবেন। গরুরহাটে যাতে জাল টাকার লেনদেন না হয় সেজন্য আমরা জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন রেখেছি। আমরা অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, প্রতারক, চাঁদাবাজ এবং অতিরিক্ত হাসিল আদায়কারীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এছাড়াও, গরু পরিবহনে ব্যবহৃত নসিমন, করিমন সহ বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ সদস্যরা ঈদের সময় নিজেরা ছুটি না গিয়ে আপনাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থেকে জনগণকে সেবা দিয়ে গর্বিত বোধ করে।”
উক্ত গরুহাট পরিদর্শন এবং সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ কালে কেএমপি’র ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) জনাব মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম,বিপিএম-সেবা; অতিঃ ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত জনাব মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন্ হাছান, পিপিএম-সেবা; সহকারী পুলিশ কমিশনার (খুলনা জোন) জনাব গোপীনাথ কানজিলাল; সহকারী পুলিশ কমিশনার (খালিশপুর জোন) জনাব মোঃ নাসিম এ-গুলশান; খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ কামাল হোসেন খাঁন এবং খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন-সহ বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।
