বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির হিসাবে, দেশে ৮০ লাখের বেশি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। আবার প্রতি ১০০ জনে ৫৬ জনই জানেন না তার শরীরে রোগটির বসবাস রয়েছে।
করোনায় অন্যান্যদের চেয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের সংক্রমণ তীব্র হচ্ছে। সুতরাং তাদের জন্য বাড়তি সতর্কতা দরকার। ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা কী করোনা প্রতিরোধের টিকা নিতে পারবেন, পারলে কখন নিতে হবে এবং টিকা নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে কী করতে হবে এসব বিষয় জানা খুবই জরুরি।
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক, ডায়াবেটিস ও হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহজাদা সেলিম বলেছেন, ডায়াবেটিস রোগীরা অবশ্যই টিকা নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আগে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এনে, তারপর টিকা নিতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে টিকা নেওয়া যাবে না। যাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্র ৬ থেকে ১০, তারা ভালো আছেন। কিন্তু যাদের ১৬ দশমিক ৭ এর উপরে, তাদের টিকা নিতে হলে অবশ্যই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। টিকা নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
টিকা নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ডায়াবেটিস রোগীদের করণীয় বিষয়ে তিনি বলেন, আসলে টিকাটি যেহেতু নতুন, সেহেতু কিছু কিছু বিষয় জানা যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে খুব বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা এখনো জানা যায়নি। এখন টিকা নেওয়ার পর যা হচ্ছে, সেটি প্রায় সব ধরনের টিকা বা ওষুধের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। টিকা নেওয়ার ফলে কারও কারও হালকা জ্বর, পাতলা পায়খানা, মাথাব্যথা হয়েছে। এর বাইরে খুব বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা শোনা যায়নি। তারপরও দেশের সব জায়গাতেই টিকা নেওয়ার পর তাদেরকে নাম্বার দেওয়া হচ্ছে, যেন প্বার্শপ্রতিক্রিয়া হলে তারা যোগাযোগ করতে পারেন।
সুতরাং টিকা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকার কোনো কারণ নেই। সবাইকে টিকা নেওয়ার বিষয়ে উৎসাহিত করা হচ্ছে। আর টিকার দ্বিতীয় ডোজে, প্রথম ডোজের চেয়ে সমস্যাগুলো কম হচ্ছে। ফলে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানান ডা. শাহজাদা সেলিম।