বাংলাদেশে এখন পিৎজা পছন্দ করেন না, এমন যেকোনো বয়সী মানুষ পাওয়াই দুষ্কর। সুস্বাদু লোভনীয় চিজ এবং নানা বাহারি টপিংয়ে ভরপুর ও ক্রিস্পি ক্রাস্ট—নানা রকম স্বাদের পিৎজা এখন আড্ডা বা দৈনন্দিন জীবনে মানুষের অন্যতম অনুষঙ্গ। ইদানীং পিৎজা খাবার হিসেবে আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এর পেছনের বিশেষত্ব হচ্ছে, হরেক রকমের স্বাদ, ঝাল বা চিজ বেশি বা কম, মাংস পছন্দ অথবা মাংস খেতে চান না—সব রুচি ও পছন্দের মানুষের জন্যই রয়েছে মনমাতানো স্বাদের পিৎজা।
ইতালির ঐতিহ্যবাহী খাবার পিৎজা তার অনন্য স্বাদ ও বিশ্বব্যাপী ভোক্তার পছন্দ অনুযায়ী বিবর্তিত হওয়ার কারণেই ইতালির সীমানা পেরিয়ে সারা বিশ্বের জনপ্রিয় খাবারে পরিণত হয়েছে। এই জনপ্রিয়তাকে আরও শীর্ষে নিয়ে যেতে বিশ্বজুড়ে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে একটি বিশেষ ব্র্যান্ড ‘ডোমিনোজ পিৎজা’।
১৯৬০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেটের সিলান্টিতে মাত্র একটি রেস্তোরাঁ শুরুর মাধ্যমে ব্র্যান্ডটির যাত্রা শুরু করেন টমাস স্টিফেন মোনাঘান, যা এ মুহূর্তে রেস্তোরাঁর সংখ্যায় বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ পিৎজা ব্র্যান্ড। বিশ্বের ৯০টির বেশি জায়গায় ২০ হাজার ৯০০–এর বেশি রেস্তোরাঁ রয়েছে ব্র্যান্ডটির। গুণগত মান বজায় রাখার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি, ৩০ মিনিটে ডেলিভারির নিশ্চয়তা আর মানুষের নানা স্বাদের উপযোগী করে পিৎজা তৈরি করার উদ্ভাবনী শক্তিই এই সফলতার পেছনের কারণ। পিৎজাপ্রেমীদের জন্য যেকোনো জায়গা থেকে মাত্র ৩০ মিনিটে পিৎজা পাওয়ার সুযোগ করে এখন ডোমিনোজ পিৎজা সারা বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি নামে পরিণত হয়েছে।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ধানমন্ডিতে প্রথম যখন ডোমিনোজ পিৎজা চালু হয়, তখন ঢাকাবাসীর মধ্যে অভাবনীয় সাড়া জেগেছিল। বিশেষ করে রেস্তোরাঁর সামনে অপেক্ষমাণ ভোক্তাদের দীর্ঘ সারি এর আগে এখানে কখনো দেখা যায়নি। এ থেকে ব্র্যান্ডটির প্রতি বাংলাদেশের ভোজনরসিক মানুষের ভালোবাসাই প্রকাশ পায়। মানুষ তাদের পছন্দের পিৎজা, সাইড ডিশ ও ডেজার্ট উপভোগ করতে ভিড় জমায়। পুরো ঢাকাই যেন এই মনমাতানো স্বাদ পেতে অধীর আগ্রহে ছিল।
তবে ডোমিনোজ পিৎজার পরিকল্পনা ছিল আরও বড়। ব্র্যান্ডটির বৈশ্বিক ঐতিহ্য এখানেও সমানভাবে ধরে রেখে বাংলাদেশে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, কক্সবাজার ও নারায়ণগঞ্জের মতো পাঁচটি বড় শহরে সফলভাবে ছড়িয়ে যাওয়ার পর এই সেপ্টেম্বরেই সিলেট হতে যাচ্ছে ব্র্যান্ডটির ব্যবসা সম্প্রসারণের ষষ্ঠ শহর।
গুণগত মান ও ব্যতিক্রমধর্মী সেবার ক্ষেত্রে দৃঢ় প্রতিশ্রুতির কারণেই সারা দেশে এ রকম আস্থার জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ব্র্যান্ডটি। ভোক্তাদের একটি বড় অংশই ৩০ মিনিটের মধ্যে ডেলিভারি নিশ্চয়তা ও অনবদ্য অনলাইন ট্র্যাকিং সুবিধার জন্য ব্র্যান্ডটির প্রতি আকর্ষিত হয়েছেন। পাশাপাশি এর সঙ্গে আছে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অ্যাপ, ওয়েবসাইট (m.dominos.com.bd) ও কল সেন্টার (১৬৬৫৬)-এ কল দেওয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই অর্ডার দেওয়ার সুবিধা। এ ছাড়া তাদের মেনু তালিকায় নানা পদের পিৎজা ছাড়াও রাইস ডিশ, সাইড ডিশ, চিকেন উইংস, কোমল পানীয় ও ডেজার্টের মতো মুখরোচক নানা খাবার রয়েছে। ফলে ভোজনরসিক ভোক্তারা জিবে জল আনা নানা পদের খাবারে নিজেদের মন ভরানোর সুযোগ পাবেন। ডোমিনোজ পিৎজায় চিকেন সসি টর্নেডো পিৎজা, স্মোকি চিকেন পিৎজা, টেক্সাস বিবিকিউ চিকেন পিৎজা, বিফ কালাভুনা পিৎজা ও ডিলাক্স ফিস্ট পিৎজার মতো জনপ্রিয় পদ থেকে শুরু করে মার্গারিটা বা পেপেরনির মতো একদম প্রথম সারির পিৎজাও রয়েছে। আর এর মধ্য দিয়ে ব্র্যান্ডটির আঞ্চলিক স্বাদকে ভোক্তার পছন্দের তালিকায় তুলে আনার সক্ষমতা ও এর আন্তর্জাতিক মান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
এই আনন্দকে উদ্যাপন করতে মুখরোচক নানা পদে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়ে নতুন ভোক্তাদের জন্য প্রথম অনলাইন অর্ডারের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ ছাড়ের অফার ঘোষণা করেছে ডোমিনোজ পিৎজা। এ উপলক্ষে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্র্যান্ডটির গ্লোবাল টিম থেকে উপস্থিত ছিলেন এশিয়া, মিডল ইস্ট, আফ্রিকার ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ম্যানেজার গাওয়াইন ওং; এএমইএ (এশিয়া, মিডল ইস্ট, আফ্রিকা) ও প্যাসিফিকের ইন্টারন্যাশনাল অপারেশন্স সিওই ম্যানেজার অ্যালেক্স কারা এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যানালাইটিকস অ্যান্ড ইনসাইটসের প্রজেক্ট লিড নোয়েল সুং।
বাংলাদেশে ডোমিনোজ পিৎজার সম্প্রসারণ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে গাওয়াইন ওং বলেন, ‘বাংলাদেশের ভোক্তাদের জন্য সব ধরনের আনন্দ উদ্যাপন ও গেট টুগেদারে নানা পদের পিৎজা, সাইড ডিশ, রাইস ও ডেজার্ট নিয়ে আসতে পেরে আমরা সত্যিই উচ্ছ্বসিত। গুণগত মান ও সেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমাদের সুদৃঢ় প্রতিশ্রুতি রয়েছে। আর এ কারণেই বাংলাদেশের মানুষের জন্য আরও বেশি অনন্য অনুভূতি নিয়ে আসতে আমরা দেশজুড়ে নিজেদের সম্প্রসারণ করছি।’
এ বিষয়ে ডোমিনোজ পিৎজা বাংলাদেশের চিফ অপারেশনস অফিসার আহমেদ শোয়েব ইকবাল বলেন, ‘দেশের প্রতিটি আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় ডোমিনোজ পিৎজার একটি শাখা চালুর লক্ষ্যপূরণে জসীমউদ্দীন রোডের এই রেস্তোরাঁ আরও একটি মাইলফলক হিসেবে যুক্ত হলো। আমরা বিশ্বমানের অভিজ্ঞতা, দ্রুত ডেলিভারি, পিৎজার নানা পদের মাধ্যমে বাহারি স্বাদ ও সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের প্রত্যাশা, এখন আরও বেশি ক্রেতা আমাদের সুস্বাদু খাবার উপভোগ করার সুযোগ পাবেন। একই সঙ্গে নতুন রেস্তোরাঁয় প্রিয়জনের সঙ্গে মুহূর্তগুলো স্মরণীয় করে রাখতে পারবেন।’
দেশ ও বিশ্বজুড়ে সব কমিউনিটির মধ্যে স্বাদ ও চিজের অনন্য মিশ্রণ ছড়িয়ে দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ডোমিনোজ পিৎজা। নিজেদের সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে তারা জানান দিতে চায়, পিৎজার এই অনন্য স্বাদ যেন সবার মাঝে সমানভাবে ছড়িয়ে যেতে পারে!