তাপপ্রবাহ কেটে গিয়ে সব বিভাগেই ঝড়-বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে বলা হচ্ছে শিলাবৃষ্টির শঙ্কার কথা।
আবহাওয়া অধিদফতর বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) রাতে এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়েছে বর্তমানে পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে, যা উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
এই অবস্থায় শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা নাগাদ ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝডড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। এসময় ঢাকায় দক্ষিণ-পশ্চিম/দক্ষিণ দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিমি, যা অস্থায়ীভাবে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিমিতে উঠে যেতে পারে।
শনিবার নাগাদ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে। আর বর্ধিত পাঁচদিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তনের আভাস রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে টাঙ্গাইলে, ২৯ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাঙামাটি ও ফেনীতে, ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩ মিলিমিটার ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত কয়েকদিনের তাপপ্রবাহের পর বুধবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে বদলে যেতে থাকে প্রকৃতি। রাত ৮টা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বয়ে যায় কালবৈশাখী ঝড়। রাজধানীতেও ৮৩ কিমি বেগে হানা দেয় কালবৈশাখী। শুক্রবারও দিনভর আকাশ মেঘলা ছিল বিভিন্ন স্থানে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় গরম অনুভূতি ছিল মাঝারি ধরনের।