বিসিবির ১৫তম সভাপতি হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন ফারুক আহমেদ। তবে গুঞ্জনের ডালপালা মেলেছে তামিম ইকবালকে ঘিরে। সাবেক এই অধিনায়ক বিসিবি পরিচালক হতে পারেন এমন আলোচনা চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। এরমধ্যে গত বৃহস্পতিবার সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ক্রিকেটাররা। সেই বৈঠকে তামিমের উপস্থিতি চলমান গুঞ্জনে যেন ঘি ঢেলে দিয়েছে!
ওইদিন পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজজয়ী বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা সেদিন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর তাদের সঙ্গে বিসিবি কার্যালয়ে বসেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু সেখানে কোন ভূমিকায় ছিলেন তামিম এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ক্রিকেটাঙ্গনে। সেই প্রশ্নের উত্তর আজ শনিবার দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। ক্রিকেটারদের বোনাস অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আপাতত সে খেলোয়াড়। অবসর নিয়েছে নাকি ও?’
এর আগে বৈঠকে হওয়া আলোচনা নিয়ে ফারুক বলেন, ‘তামিম এসেছিল। আপনারা জানেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে খেলোয়াড়দের সঙ্গে ওরকম বসতে পারিনি। প্রথম কাজ হলো ওরা এসেছিল দেখা করার জন্য। আর দ্বিতীয় হলো যেহেতু একটু কঠিন সময় যাচ্ছে, বিভিন্ন লিগ ও বিপিএল এগুলো সময়মতো কীভাবে হবে। ওদের কিছু প্রস্তাবনা ছিল, এগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি কীভাবে ঠিকভাবে করতে পারি।’
তামিম ক্রিকেট মাঠে ফিরবেন নাকি বিসিবি পরিচালক হবেন মাসখানেক ধরেই এ নিয়ে ক্রিকেট মহলে আলোচনা চলছে। তামিম এখনও ক্রিকেট খেলতে পারেন এমন ধারণা পোষণ করেছেন নতুন বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ। আবার তামিম ইকবালের সাম্প্রতিক কিছু কর্মকাণ্ড বোর্ড পরিচালক হওয়ারও ইঙ্গিত বহন করছে।
তামিম যদি সত্যিই বোর্ড পরিচালক হতে চান সেক্ষেত্রে বেশ কিছু আনুষ্ঠানিকতা ও ধাপ পেরিয়ে আসতে হবে। প্রথমত বর্তমান শূন্য হওয়া পরিচালক পদগুলো বিসিবি পূরণ করবে কি না, সেই ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ইতোমধ্যে নাইমুর রহমান দুর্জয়, খালেদ মাহমুদ সুজনের পদ শূন্য হয়েছে। সামনে আরও ফাঁকা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি বোর্ডের মেয়াদ রয়েছে আর এক বছর। এই স্বল্প সময়ের জন্য বোর্ড উপনির্বাচন পন্থায় যাবে, নাকি যারা সক্রিয় রয়েছেন তারাই একাধিক দায়িত্ব নিয়ে বাকি সময় পার করবেন সেটা বড় সিদ্ধান্ত। এর পর গঠনতন্ত্র মেনে কাউন্সিলর হয়ে বিসিবি পরিচালক হওয়ার জন্য নির্বাচনে অংশ নিতে হবে এই ব্যাটারকে।