করোনাভাইরাস মহামারির আঘাতে প্রায় তিন দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো লোকসানের মুখে পড়েছে বিশ্বের বৃহত্তম দূরপাল্লার এয়ারলাইন এমিরেটস। গত মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে তাদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ১ বিলিয়ন দিরহাম বা প্রায় ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ব্লুমবার্গের খবর অনুসারে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা এমিরেটস সম্প্রতি ক্ষতির আঘাত সামলাতে সরকারের কাছ থেকে ১১ দশমিক ৩ বিলিয়ন দিরহাম মূলধন বিনিয়োগ পেয়েছে। আর এর সহযোগী সংস্থা ডিনাটা পেয়েছে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন দিরহাম।
এমিরেটস গ্রুপের প্রধান নির্বাহী শেখ আহমদ বিন সৈয়দ আল মাকতুম জানিয়েছেন, করোনার কারণে বিভিন্ন দেশ সীমান্ত বন্ধ করা ও ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় এমিরেটস ও ডিনাটার চাহিদা ব্যাপক হারে কমে যায়। এতে সংস্থাটির আয় কমে গেছে প্রায় ৬৬ শতাংশ বা ৩০ দশমিক ৯ বিলিয়ন দিরহাম।
আগের অর্থবছরেও যেখানে এমিরেটস এয়ারলাইন ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার মুনাফা করেছিল, সেখানে গত অর্থবছরে তাদের ক্ষতি হয়েছে ২০ দশমিক ৩ বিলিয়ন দিরহাম।
করোনা মহামারির কারণে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারির প্রেক্ষিতে গত বছর নিজেদের সবক’টি এয়ারবাস এসই এ৩৮৯ সুপারজাম্বো বিমান বন্ধ করে দেয় এমিরেটস। এরপর থেকে বোয়িং ৭৭৭ বিমানের মাধ্যমে অল্প সংখ্যক যাত্রী ও মালামাল পরিবহন কোনোরকমে চালু রেখেছে তারা।
মহামারির আঘাতে এমিরেটসের মতো ক্ষতির মুখে পড়েছে বিশ্বের অন্য বিমান সংস্থাগুলোও। এয়ার ফ্রান্স কেএলএম এবং লুফথানসা প্রতেক্যেই গত অর্থবছরে আট বিলিয়ন ডলার ক্ষতি এবং সংকট কাটাতে সরকারি সাহায্য নেয়ার কথা জানিয়েছে। আর কর্মীর সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ কমানোর পথ বেছে নিয়েছে এমিরেটস।