আজ মঙ্গলবার নিজের ফেসবুকে একটি সতর্কবার্তা দেন নির্মাতা রায়হান রাফী। তিনি লেখেন, “আবহাওয়া কেমন আজ বাহিরে? ঝড় Toofan- তুফান আসবে নাকি?” এমন স্ট্যাটাসের পর কারও আর বুঝতে বাকি থাকে না যে, এ নির্মাতার নির্মিতব্য শাকিব খান অভিনীত তুফান এর নতুন কিছু আসছে!
এর ঘণ্টা খানেক পর ফের আভাস দেন নির্মাতা। লেখেন, “বাংলার আকাশে বাতাসে এক ভয়ঙ্কর তুফানি ঝড়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে! সবাইকে নিরাপদ দূরত্বে দরজা জানালা বন্ধ করে ঘরের ভেতরে অবস্থান করার জন্য সতর্ক করছে তুফান কর্তৃপক্ষ! আজ যেকোনো সময় আসতে পারে ভয়ংকর কোনো ঝড়।”
বোঝার অবকাশ থাকে না আসলেই কিছু একটা আসছে। অতঃপর তাই হয়। ১ মিনিট ২১ সেকেন্ডের এক টিজার উন্মুক্ত করা হয় তুফানের। যার শুরু কলিজা শুকানো অঙ্গীকারনামা দিয়ে। অস্ত্র উঁচিয়ে সে অঙ্গীকারনামা পাঠ করতে দেখা যায় খোদ শাকিবকে। “পূর্বের কথা মোতাবেক, এখন থেকে পুরো দেশকে তুফানের হাতে তুলিয়া দিব। সে যা চাইবে, পাইবে। যা করিতে চাইবে, করিবে। তাহাকে কোনো কিছুতেই বাঁধা দেয়ার এখতিয়ার কেউ রাখিতে পারিবে না।”
এরপর শুরু হয় তাণ্ডব। কখনও অস্ত্রবাজী, কখনও হিংস্রতা। আর এর নেপথ্যে তুফানরূপী শাকিবের। যার হুংকারে ভীত সব। শুধু ভীত না একজন। তিনি চঞ্চল চৌধুরী। মাথা গরম শাকিবকে প্রতিউত্তরে ঠাণ্ডা মাথার চঞ্চলকে শীতল হাসি শেষে বলতে শোনা যায়, ‘তুফান, খুব ভয় পাইছি রে…’! এতে স্পষ্ট যে শাকিব বুনো ওল হলে চঞ্চল যেন বাঘা তেতুল।
টিজারটি নিয়ে মন্তব্য করতে গেলে বলতে হবে, এর আগে এমন শাকিবকে কেউ দেখেনি, দেখেনি কোনোকালে। তার এক হুংকারে খড়কুটোর মতো উড়ে গেছে দর্শকের অমনোযোগিতা। এই শাকিবের দিকে মনযোগ দিতেই হবে। আর শাকিবিয়ানরা তো যারপরনাই মুগ্ধ।
তবে অনেকেই টিজারের সঙ্গে খুঁজে পাচ্ছেন বলিউডের অ্যানিমেল ও দক্ষিণি চলচ্চিত্র কেজিএফ চ্যাপ্টার ২ এর মিল। তাদের মতে, এই ছবি দুটির কম্বিনেশন স্পষ্ট তুফানের টিজারে।
খেছেন, ট্রেলার দেখে যতদূর বুঝলাম হিন্দি অ্যানিমেল সিনেমার প্রচুর প্রভাব তুফান সিনেমাতে। সেক্ষেত্রে পরিচালক চাইলে সিনেমার নাম তুফান না রেখে জানোয়ার বা পশু রাখতে পারত। কেজিএফের আভাস পাচ্ছেন উল্লেখ করে অন্য একজন লিখেছেন, কেজিএফের স্মেল পাচ্ছি। কারও কথায়, কিছুটা অ্যানিমেল মুভির সিন তবু অনেক ভালো।
এদিকে কেজিএফ এবং অ্যানিমেলের পূর্বাভাসের সঙ্গে তুফানের টিজার মিলিয়ে বোঝা গেছে নেটিজেনদের দাবি অযৌক্তিক না। তুফানের ট্রেলারে শাকিবের লুকে অ্যানিমেলের রণবীর কাপুর এবং কেজিএফের যশের চরিত্রের সঙ্গে বেশ মিল পাওয়া গেছে। বিশেষ করে কেজিএফের যশের চরিত্রের পোশাক পরিচ্ছদের সঙ্গে তুফানে শাকিবের চরিত্রের পোশাকাদির মিল পাওয়া গেছে।
তবুও শাকিবে মুগ্ধ বড় একটি অংশ। ভারতীয় ছবি দুটির প্রভাব মেনে নিয়েই ছবিটির অপেক্ষায় আছেন তারা। একজনের কথায়, কিছুটা অ্যানিমেল মুভির সিন তবু অনেক ভালো। চলচিত্র উন্নয়ন হচ্ছে। আরেকজন লিখেছেন, বাংলাদেশেও কেজিএফ তৈরি হতে চলেছে। বাংলাদেশ শাকিব খানকে নতুন রূপে আবারও চিনতে প্রস্তুত হও।
নব্বই দশকের গ্যাংস্টারের গল্প দেখা যাবে ‘তুফান’-এ। এতে শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করবেন টলিউডের মিমি চক্রবর্তী এবং বাংলাদেশের মাসুমা রহমান নাবিলা। গুঞ্জন রয়েছে এতে খল চরিত্রে থাকছেন যিশু সেনগুপ্ত। এছাড়া থাকছেন চঞ্চল চৌধুরী।
দেশের দুই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই ও চরকির সঙ্গে ছবিটি প্রযোজনা করবে কলকাতার এসভিএফ। তুফাম পরিচালনা করবেন রায়হান রাফী। কোরবানির ঈদে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।