থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের পদচ্যুতির শঙ্কা তৈরি হয়েছে। দেশটির সাংবিধানিক আদালতে চলমান মন্ত্রী নিয়োগ সংক্রান্ত এক মামলার রায়ের ওপর নির্ভর করছে তার পদ। চলতি সপ্তাহে ওই মামলার রায় দেবেন আদালত।
প্রধানমন্ত্রী স্রেথার বিরুদ্ধে অভিযোগ, নৈতিকতার নিয়ম ভেঙে পিচিট চুয়েনবান নামের এক আইনজীবীকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। পিচিট দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ধনকুবের থাকসিন সিনাওয়াত্রার পরিবারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ২০০৮ সালে দুর্নীতিসংক্রান্ত এক অপরাধে পিচিটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। যদিও স্রেথাকে বাঁচাতে পদত্যাগ করেছিলেন পিচিট। কিন্তু দেশটির সাংবিধানিক আদালত এখনো মামলাটির শুনানি করতে রাজি। দেশটির সেনা সমর্থিত সিনেটররা মামলাটি করেছিলেন।
থাইল্যান্ডে বর্তমানে জোট সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছে স্রেথার রাজনৈতিক দল ‘ফেউ থাই পার্টি’। স্রেথার দাবি, পিচিটকে ব্যাপক যাচাই-বাছাই করেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ক্ষমতায় থাকতে পারলে মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন স্রেথা। যদি স্রেথাকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে ফেউ থাই পার্টিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবারও কাউকে মনোনীত করতে হবে।
এর আগেও সাংবিধানিক আদালতের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী পদচ্যুত হওয়ার নজির আছে। তবে এবার তেমনটি না–ও হতে পারে বলে মনে করেন দেশটির বিশ্লেষক থিতিনান পংসুধীরক। তিনি বলেন, আমি মনে করি, তিনি টিকে যাবেন। কারণ, বিকল্প খুঁজে বের করা কঠিন। তা ছাড়া তিনি ভুল কিছু করেননি। তিনি কঠোর পরিশ্রমী।