ভারত প্রথম টেস্টের দল ঘোষণা করেছে চার দিন আগে। স্পিনারে ঠাসা স্কোয়াডে পেস বোলার চারজন। বিসিবি এখন পর্যন্ত টেস্ট দল ঘোষণা না করলেও জানা গেছে স্কোয়াডে পেস বোলার রাখা হচ্ছে চারজন। তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা ও খালেদ আহমেদ থাকতে পারেন ১৫ জনে। সে ক্ষেত্রে পাকিস্তান সফরের দল থেকে বাদ পড়তে পারেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম।
কুঁচকির চোটের কারণে দ্বিতীয় টেস্ট খেলা হয়নি তাঁর। ঝুঁকিমুক্ত রাখতে তাঁকে বিশ্রাম দেওয়ার ব্যাপারে একমত হতে পারে নির্বাচক প্যানেল। পেস বিভাগ ছোট করা হলেও স্পিন বিভাগ অপরিবর্তিত রাখা হতে পারে। অলরাউন্ডার জুটি সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও অফস্পিনার নাঈম হাসান থাকতে পারেন।
চেন্নাইয়ের উইকেটে স্পিনারদের জন্য সুবিধা থাকে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন বরাবরই ভালো করেন দক্ষিণের এ মাঠে। ২০২৩ সালে বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলার সময় নাজমুল হোসেন শান্তরাও জেনে গেছেন স্পিনাররা ভালো করেন। কানপুরের কন্ডিশনও খুব বেশি স্পোর্টিং হওয়ার সম্ভাবনা কম। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ইচ্ছা করেই পেস বোলারদের অনুকূল কন্ডিশন বানাবে না। কারণ পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডির ব্যাটিংস্বর্গে বাংলাদেশের পেসারদের দাপট দেখেছে তারা।
বিসিবির নির্বাচক প্যানেলও ভারত বোর্ডের পরিকল্পনা বুঝতে পেরে একজন পেসার কম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান জাতীয় দল-সংশ্লিষ্ট একজন। ১৫ জনের দল ভারত গেলে স্পিনার বাড়ানোর সুযোগ নেই। সাকিব-মিরাজের সঙ্গে তাইজুলকে খেলালে পেস বোলার খেলার সুযোগ পাবেন দু’জন। টিম ম্যানেজমেন্ট চাইলে পেস ইউনিট থেকে তিনজনকেও খেলাতে পারবে। এ ছাড়া বোলার বেশি প্রয়োজন হলে যে কোনো সময় ঢাকা থেকে উড়িয়ে নিতে পারবে। বাঁহাতি পেসার শরিফুল তো টি২০ দলের সঙ্গে থাকছেনই। চোটের কারণে কারও বদলি প্রয়োজন হলে স্কোয়াডে জুড়ে দেবেন নির্বাচকরা।
পাকিস্তানে সফল হওয়ার পর টেস্টের ব্যাটিং লাইনআপে হাত দেওয়ার সুযোগ নেই। চোটমুক্ত হওয়ায় মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসানকে নিয়ে ওপেনিং বিভাগ। নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে লাইনআপ। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট চাইলে একজন ব্যাটার বেশি নিতে পারে রিজার্ভ হিসেবে।
বাংলাদেশ ভারতে টেস্ট খেলেছে সাকল্যে তিনটি– ২০১৭ সালে হায়দরাবাদে, ২০১৯ সালে ইন্দোর ও কলকাতায়। শেষ সিরিজে ভালো করতে পারেনি। স্বাগতিক তিন পেসার ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব ও মোহাম্মদ শামি ধসিয়ে দেন বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। এই তিনজনের একজনও নেই এবার। বাংলাদেশও খেলবে নতুন পেস ইউনিট নিয়ে। বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে হাসান, রানাদের যারাই খেলেন না কেন, অভিষেকের স্বাদ পাবেন।
লাল বলের স্কোয়াড অনুমেয় হলেও টি২০ দলে কিছু পরিবর্তন আনা হতে পারে। ‘রহস্য বোলার’ আলিস আল ইসলামকে নিতে চাইবেন নির্বাচকরা। লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন পরীক্ষিত; অফস্পিনার শেখ মেহেদি, বাঁহাতি সাকিব তো থাকছেনই। আরেক বাঁহাতি রাকিব হাসানকেও পাইপলাইনে রাখা হয়েছে। নাসুম আহমেদ ক্যাম্পে থাকলেও স্কোয়াডে নেওয়ার সম্ভাবনা কম বলে মনে করেন সাবেক নির্বাচকরা।