খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, দলিত জনগোষ্ঠী সমাজের অপাংতেয় নয়। সকল মানুষ সমান। তাই সকলকে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলিত জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক ও উদার। এজন্য দলিতদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশেষ সুরা আইন প্রণয়নের চেষ্টা চলছে।
সিটি মেয়র আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় নগর ভবনের জিআইজেড মিলনায়তনে আয়োজিত সংলাপ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন প্রতিষ্ঠা, সংখ্যালগুদের বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়নসহ দলিত সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংকট নিরসনের লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘দলিত’ এ সংলাপ সভার আয়োজন করে। ইউএসএইড-এর অর্থায়নে এবং কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল-এর কারিগরি সহযোগিতায় স্ট্রেংদেনিং অ্যাডভোকেসি ইনিশিয়েটিভস অব দলিত কমিউনিটি (এসএআইডি) প্রকল্পের ‘প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি এন্ড রাইটস্ (পার)’ কার্যক্রমের আওতায় এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।
সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র আরো বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সন্তানেরা এখন লেখাপড়া শিখছে। সাক্ষরতা অর্জনের পাশাপাশি দাতা সংস্থাসমূহ সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করলে শীঘ্রই তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলে সিটি মেয়র আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সংস্থার নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার দাস-এঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কেসিসি’র মেয়র প্যানেলের সদস্য এস এম রফিউদ্দিন আহম্মেদ, এস এম খুরশিদ আহম্মেদ টোনা, এ্যাড. মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু, কাউন্সিলর মোঃ আরিফ হোসেন, সংরতি আসনের কাউন্সিলর মনিরা আক্তার, সাহিদা বেগম, রাফিজা, রোজী ইসলাম, মাহমুদা বেগম ও এ্যাড. জেসমিন পারভীন জলি। অন্যান্যের মধ্যে কেসিসি’র আর্কিটেক্ট রেজবিনা খানম, খুলনা ওয়াসা’র সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম সরদার, বেসরকারি সংস্থা ব্রাক-এর সিটি ম্যানেজার গাজী গোলাম মোহাম্মদ, সুশীলনের ডেপুটি ডাইরেক্টর শাহীনা পারভীন, বাংলাদেশ দলিত পরিষদ-খুলনা বিভাগের সভাপতি কালিপদ দাসসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিগণ সংলাপ সভায় অংশগ্রহণ করেন। সংলাপ সভার ল্য, উদ্দেশ্য, কার্যাবলী ও রোডম্যাপ পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইসরাত নূয়েরী হোসেন এবং স্বাগত বক্তৃতা করেন দলিত ওয়ার্কিং গ্রুপের আহবায়ক সিলভী হারুন।
দুপুর সাড়ে ১২টায় সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রকল্পভুক্ত নারী ুদ্র ব্যবসায়ীদের মাঝে ব্যবসা সহায়তার চেক বিতরণ করেন। কাইমেট ব্রিজ ফান্ড-এর অর্থায়নে অনুষ্ঠানে নগরীর ২১, ২২ ও ৩১নং ওয়ার্ড এলাকায় কোভিড-১৯ এ তিগ্রস্থ ও জলবায়ু অভিবাসী ১শ ৭জন নারী ুদ্র ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়। বেসরকারি সংস্থা জাগ্রত যুব সংঘ (জেজেএস) এবং হ্যাবিটেট ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের পরিবর্তন চান। সে কারণে তিনি তাগের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন সহযোগিতা কাজে লাগিয়ে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের আহবান জানান।
জেজেএস-এর সিনিয়র ডাইরেক্টর এস এম চিশতি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কেসিসি’র কাউন্সিলর আরিফ হোসেন মিঠু, সংরতি আসনের কাউন্সিলর কনিকা সাহা ও এ্যাড. জেসমিন পারভীন জলি। অন্যান্যের মধ্যে কেসিসি’র আর্কিটেক্ট রেজবিনা খানম, হ্যাবিটেট ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সিনিয়র প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ওবায়দুর রহমানসহ প্রকল্পের সুবিধাভোগীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
Leave a comment