
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ সবচেয়ে বেশি আঘাত হানতে পারে ভারতের ওড়িশায়- এমন আশঙ্কা করছেন দেশটির আবহাওয়াবিদরা। ভারতীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১০ লাখ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরানো প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ভারতের কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া ও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সমুদ্র উপকূলবর্তী দুই জেলা, পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। উপকূলবর্তী এলাকা থেকে নিরাপদ জায়গায় বাসিন্দাদের সরানোর কাজ আগেই শুরু হয়েছিল। ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে বহু ট্রেন।
বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদন বলছে, আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শুক্রবার সকাল নয়টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে কলকাতা বিমানবন্দরের বিমান উড্ডয়ন। আবহাওয়ার তথ্য অনুযায়ী, ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামরা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে ‘দানা’। ওড়িশা-বাংলা উপকূলবর্তী এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ২৬০ কিলোমিটার, ধামরা থেকে ২৯০ কিলোমিটার এবং সাগরদ্বীপ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ওই ঘূর্ণিঝড়।
বাসিন্দাদের নিকটবর্তী ফ্লাড সেন্টারে পৌঁছানোর জন্য জেলা প্রশাসনকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। ওই রাজ্যের বালেশ্বর, ভদ্রক এবং কেন্দ্রাপাড়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এই সমস্ত এলাকা থেকে বহু মানুষকে সরানো হয়েছে। ভুবনেশ্বরস্থিত বিজু পট্টনায়ক বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে ১৬ ঘণ্টার জন্য বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে।