বাংলাদেশে ই-বর্জ্যের পরিমাণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। কিন্তু ই-বর্জ্য রিসাইক্লিংয়ের জন্য বেসরকারিভাবে অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও সরকারিভাবে তার পরিমাণ কম। নগরকে আরও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ই-বর্জ্য রিসাইক্লিংয়ের জন্য একত্রে কাজ করতে হবে।
সোমবার (১ নভেম্বর) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের চতুর্থ ভার্চুয়াল অধিবেশনে এসব কথা বলেন আলোচক তামজিদুল ইসলাম।
জার্মান এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জিআইজেড) বাংলাদেশের সহায়তায় ‘সুষম উন্নয়েনের জন্য গ্রামীণ পরিকল্পনা ও আঞ্চলিক উন্নয়ন’ শীর্ষক এ অধিবেশনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)। ।
ঢাকা বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা প্রজেক্টের ডেপুটি টিম লিডার খন্দকার নিয়াজ রহমানের সঞ্চালনায় এবং সভাপতিত্বে অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এশিয়ান ডিজাস্টার প্রিপেয়ারডনেস সেন্টারের রিশিরাজ দত্ত। অধিবেশনে বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক নিলোপাল অদ্রি এবং টিলার এর সিইও মো. তামজিদুল ইসলাম।
সেমিনারের শুরুতে মূল প্রবন্ধক রিশিরাজ দত্ত বলেন, ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা আরও বাড়বে, বৃষ্টিপাত কমবে এবং প্রবল খরা কৃষিখাতকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপক আবু সাদাত তার উপস্থাপনায় রাজশাহী উন্নয়ন অধিদপ্তর এলাকায় স্থাপিত একটি মার্কেটে অগ্নিসুরক্ষা ব্যবস্থাপনার অনুপস্থিতির প্রতি আলোকপাত করেন।
উম্মে লাবিবা রাহা বলেন, ই-বর্জ্য পরিচালনার জন্য বাংলাদেশে ব্যবহৃত পদ্ধতিগুলো অপর্যাপ্ত। একটি টেকসই মডেল বাস্তবায়ন বড় সমস্যার সমাধান করতে পারে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক নিলোপাল অদ্রি বলেন, বাংলাদেশের বন্যাদুর্গত অঞ্চলের উন্নয়ন, অগ্নিসুরক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং সফল ই-ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য সব কর্তৃপক্ষের একটি সমন্বিত ও নির্দেশিত পরিকল্পনা প্রয়োজন রয়েছে।