আগামীর বাংলাদেশে এলাকাভিত্তিক কোনো বৈষম্য থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীর শহীদ ও আহতদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতে পাচ্ছি। আমরা নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করছি। বিগত সময়ে উন্নয়ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গ অবহেলিত হয়েছে। বঞ্চিত হয়ে এসেছে। তাই আমি নিজে সরেজমিন পরিদর্শন করতে চেয়েছি। আপনাদের কথাগুলো শুনতে এবং দাবিগুলো জানতে চেয়েছি। আমরা চাই আগামীর বাংলাদেশে এলাকাভিত্তিক কোনো বৈষম্য থাকবে না।
বুধবার দুপুরে তেঁতুলিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শীতার্তদের মাঝে কম্বল, শিক্ষার্থীদের স্কুলব্যাগ ও সাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আসিফ মাহমুদ।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, আমি উত্তরবঙ্গে এসেছি। এই অঞ্চলের ১২ জেলার প্রায় ২২টি উপজেলা পরিদর্শন করবো। তেঁতুলিয়া উপজেলা ও পঞ্চগড় সদর উপজেলার কর্মকর্তাবৃন্দ এখানে আছেন। আপনাদের প্রতি আহ্বান থাকবে, নাগরিক সেবাকে ‘টপ প্রায়োরিটি’ দিয়ে আপনারা কাজ করবেন। কাজের ক্ষেত্রে জনগণকে কোনোপ্রকার হেনস্থা কিংবা কালক্ষেপণ করবেন না। ঘুষ-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হবেন না।
তেঁতুলিয়াবাসীর কাছে আহ্বান থাকবে- সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যদি কোনো অন্যায় আবদার করেন, তাদের কাউকে যদি ঘুষ-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হতে দেখেন, তাহলে অবশ্যই আমাদের জানাবেন। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিব, যোগ করেন তিনি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, আমরা একটি সাধারণ সিদ্ধান্ত হিসেবে উত্তরবঙ্গের জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভায় বরাদ্দ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপনাদের সঙ্গে যে বৈষম্য হয়েছে তা নিরসনে এবং স্থানীয়ভাবে আপনাদের যে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন তা বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় কাজ করবে।
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবেত আলী। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে রাব্বি, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।