বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ সেশনের নির্বাচন বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাসরিন আক্তার নিপুণ। সেইসঙ্গে নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদককে বলেছিলেন অশিক্ষিত। এবার একই বিশেষণ যোগ করলেন কমিটির নতুন সভাপতি মিশা সওদাগরের নামের সঙ্গে।
সংবাদমাধ্যমকে নিপুণ বলেন, ‘যেহেতু আমি হাইকোর্টে রিট করেছি, তাই এসবের জবাব সেখান থেকে আসবে। কারণ, কথা যত বলব, ততই কথা বাড়বে, তা-ই না? যেহেতু আমি অনিয়ম নিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় হেঁটেছি, তাই আইনিভাবে সব মোকাবিলা হবে। তবে একটা কথা বলব, মূর্খ লোকদের সঙ্গে কথা বলার একদমই ইচ্ছা আমার নেই।’
এবার এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন মিশা। তিনি বলেন, আমরা যেহেতু শিল্পী, নিজেকে যে যে ক্যাটাগরির শিল্পীই ভাবি না কেন, আমাদের শব্দচয়নে সংযত হলে সম্মানিত বোধ করি। আমি ঢাকাইয়া, ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করি—তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। তিন যুগ ধরে অভিনয় করছি। আমি কমিটেড না হলে অভিনয়জীবন তো কোনোভাবে তিন যুগের হতো না। চলচ্চিত্রের আমরা একে অপরকে যে কথাই বলি না কেন, অবশ্যই সংযত হয়ে বলা উচিত। নিপুণের সঙ্গে শুটিংয়ের বাইরে কিন্তু কোনো দিন বসে আমি এক কাপ চা-ও খাইনি। দেশ-বিদেশে তিনটি অনুষ্ঠান করেছি, তা-ও কমিটমেন্ট ঠিক রেখে। সেই আমাকে নিপুণ কথাটা কোন ভিত্তিতে বলল, পুরো ইন্ডাস্ট্রির কাছে প্রশ্ন রইল।
এরপর বলেন, ৩ যুগ ধরে কাজ করছি, ১০টার মতো স্ক্রিপ্ট এখনো হাতে আছে। তাহলে চলচ্চিত্রের মানুষেরা এত লম্বা সময় ধরে আমার সঙ্গে কাজ কীভাবে করল! এমন কথা নিপুণের বলার আগে আমার ব্যক্তিত্ব নিয়েও তার ভাবা উচিত ছিল, আমি কাদের কাদের সঙ্গে এত লম্বা সময় ধরে কাজ করেছি। আমি যদি মিথ্যুকই হতাম, তাহলে এত লম্বা সময় ধরে কোনো প্রযোজক, পরিচালক আমাকে নিয়ে কি কাজ করতেন? নিপুণ কিন্তু আমার অনেক জুনিয়র, বয়সেও ছোট, ছোট বোনের মতো হবে—আমার ব্যক্তিত্বকে নিয়ে এভাবে বলাটা গোটা চলচ্চিত্র পরিবারকে ছোট করা হলো।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন হয়। উৎসবমুখর পরিবেশে ৫৭০ জনের মধ্যে ৪৭৫ জন শিল্পী ভোট দেন।