জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা মঙ্গলবার বলেছেন, তার দেশ এখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে গুরুতর আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির সম্মুখীন। তবে তিনি নির্দিষ্ট কোনো হুমকির কথা উল্লেখ করেননি।
৬৭ বছর বয়সী ইশিবা আগে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন। এদিন তিনি সংসদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনুমোদিত হন।এরপর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশকে ঘিরে থাকা নিরাপত্তা পরিস্থিতি (এখন) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে গুরুতর।’ইশিবা এর আগেও চীনের দ্রুত সামরিক উত্থান, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলায় এশিয়ান ন্যাটো গঠনের পক্ষে মত দিয়েছেন।
জাপানি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাপান-যুক্তরাষ্ট্র জোটকে ভিত্তি হিসেবে রেখে আমরা কূটনীতি ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে জাপান ও এই অঞ্চলে শান্তি স্থাপন করতে এবং মিত্র ও সমমনা দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বের বলয় বিস্তৃত করব।’এ ছাড়া তিনি জানান, সাইবার নিরাপত্তা ও বিদেশে থাকা জাপানি নাগরিকদের সুরক্ষা তার অগ্রাধিকার তালিকায় থাকবে এবং জাপানের সেনাবাহিনীতে নতুন সেনার ঘাটতি মোকাবেলার জন্যও তিনি কাজ করবেন।
ইশিবা ব্যাংক অব জাপানের অস্বাভাবিকভাবে অতিরিক্ত শিথিল মুদ্রানীতি থেকে সরে আসার পক্ষে। এদিন অর্থনীতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, পূর্বসূরি ফুমিও কিশিদার অর্থনৈতিক নীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন তিনি। তিনি বলেন, ‘জাপানি অর্থনীতি মুদ্রাস্ফীতি থেকে বেরিয়ে আসার এক সংকটময় মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছে। আমি মুদ্রাস্ফীতি অবসানের লক্ষ্যে অগ্রাধিকার দিয়ে অর্থনৈতিক ও আর্থিক নীতিকে পরিচালিত করব।
এ ছাড়া এদিন তিনি বলেন, দেশটির সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে ‘সব সংগঠনে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীদের অংশগ্রহণ’ একটি যৌথ লক্ষ্য হবে। তবে এদিন ঘোষিত তার ২০ সদস্যের মন্ত্রিসভায় মাত্র দুজন নারী রয়েছেন।গত সপ্তাহে শিগেরু ইশিবা ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্ব নির্বাচনে জয়লাভ করেন। তিনি তার ক্ষমতাকে দৃঢ় করতে ২৭ অক্টোবর সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।