আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় পরিষদের নির্বাচন। এ নির্বাচনে তুমুল জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অংশ নিতে পারছেন না। এমনকি নির্বাচনের আগে ইমরানের দলকে কার্যত আড়াল করে দেওয়া হয়েছে।
তবে পাকিস্তানে ‘একতরফা নির্বাচন’ হলেও এ নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করছে না যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে ভিসা নিষেধাজ্ঞাসহ অন্যান্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের বেলায় হুমকি দেওয়া হলেও; পাকিস্তানকে কেন এ ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে না? মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলের কাছে এমনই প্রশ্ন করেছিলেন এক সাংবাদিক।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র দপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করতে আসেন বেদান্ত প্যাটেল। তখন পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে ওই সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করে বলেন, গত সেপ্টেম্বরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ নিয়ে ঘোষণা দিয়েছিল ‘‘যারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে বাধাগ্রস্ত করবে— তারা নিষেধাজ্ঞা এবং ভিসা নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বেন। কিন্তু আপনি— এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো ঘোষণা দেননি। এক্ষেত্রে কেন পার্থক্য এবং দুই দেশকে কীভাবে কী করা হচ্ছে?”
জবাবে প্যাটেল বলেন, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি না কোনো পার্থক্য আছে। আমরা আগে থেকে কিছু বলব না।’’
‘নির্বাচন-পরবর্তী নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এখনই ভীতির কারণ দেখছি না’
ওই সাংবাদিক আবারও প্রশ্ন করে বলেন, যদি কেউ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে তাহলে কী হবে? জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বলেন, ‘‘আমি আগে থেকে কিছু বলব না। প্রত্যেক দেশ আলাদা এবং এখানে থেকে আমি আগেই কিছু বলব না। কিন্তু আমরা বিশ্বব্যাপী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ এবং অবশ্যই, পাকিস্তান। যখন আমরা নিজেরা এই অঞ্চলের অসঙ্গতি দেখি এবং পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষের কথার সঙ্গে অসঙ্গতি দেখব; সেগুলো নিয়ে আমরা কথা বলব। যার জন্য আমি এখানে।’’
বাংলাদেশে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপে আজই ‘পদক্ষেপ’ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
তাহলে আপনি যা বললেন, সেই অনুযায়ী কী আমি বলতে পারি, পাকিস্তানের কর্মকর্তারাও ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারেন?, ওই সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে প্যাটেল বলেন, ‘‘আমি এখান থেকে আগ বাড়িয়ে কোনো কিছু বলব না।’’