রাওয়ালপিন্ডির পিচ নিয়ে ভালোই চর্চা হচ্ছে। ২১ আগস্ট থেকে এ মাঠেই পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। এই মাঠ বিশুদ্ধ ব্যাটিং উইকেটের জন্য পরিচিত। কিন্তু আসন্ন টেস্টে এখানে পুরোপুরি পেসারদের রাজত্ব থাকবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
পাকিস্তান ৪ পেসার খেলাবে বলেও জানা গেছে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশও এখানে ৪ পেসার নিয়ে নামতে পারে। গতকাল গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ অবশ্য কম্বিনেশন নিয়ে কিছু বলেননি। উইকেট দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছেন। তবে বাংলাদেশের পেসাররা চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সাবেক এ পাকিস্তানি স্পিনার।
রাওয়ালপিন্ডিতে সর্বশেষ টেস্ট হয়েছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৬৫৭ রানের জবাবে ৫৭৯ রান করেছিল পাকিস্তান। শেষ দিনে পেসারদের নৈপুণ্যে ইংল্যান্ড ৭৪ রানে জিতে গেলেও এখানে ব্যাটারদের দাপটই বেশি ছিল। তবে ২১ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্টে শুরু থেকেই পেসারদের দাপট দেখা যাবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যম।
পেসবান্ধব উইকেটের কারণেই ৪ পেসার নিয়ে খেলার কথাও বলছে তারা। তিন পেসারের নামও জানিয়ে দিয়েছে। শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ ও মির হামজা এরই মধ্যে একাদশে নিশ্চিত হয়ে গেছেন। চতুর্থ পেসার হিসেবে খুররম শেহজাদ ও মোহাম্মদ আলির মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়া হবে। স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে সালমান আগার নাম শোনা যাচ্ছে। তিনি মূলত মিডল অর্ডার ব্যাটার, প্রয়োজনে স্পিন করতে পারেন। এ বিষয়টি মাথায় রাখলে প্রথম টেস্টে আসলে স্পেশালিস্ট স্পিনার ছাড়াই নামছে পাকিস্তান।
বাংলাদেশ দলও অনেকটা এ পথে হাঁটতে পারে। সাকিব আল হাসান ছাড়া আর কোনো স্পিনার নাও খেলাতে পারে তারা। আর দলের পেসারদের নিয়ে বেশ আশাবাদী স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক, ‘আমাদের স্কোয়াডে বেশ কয়েকজন দারুণ ক্রিকেটার রয়েছে। গত টি২০ বিশ্বকাপের সময় দেখেছি, আমাদের ফাস্ট বোলাররা কীভাবে বিশ্বের সেরা ব্যাটারদের বিপদে ফেলছে। পাকিস্তানে চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্যও আমাদের ক্রিকেটাররা প্রস্তুত।’
বাংলাদেশ দল পাকিস্তান গেছে ৫ পেসার নিয়ে। এর মধ্যে তাসকিন আহমেদ, খালেদ আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের প্রথম টেস্টে খেলা প্রায় নিশ্চিত। হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানার মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়া হতে পারে। বাংলাদেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। যে কারণে অনুশীলনে বিঘ্ন ঘটছিল। তাই তারা একটু আগেভাগে পাকিস্তান চলে যান। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) এই উদ্যোগের বেশ প্রশংসাও করেন মুশতাক।