খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণমিছিল চলাকালে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২ আগস্ট) জুমার নামাজ শেষে মিছিল বের করলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনার নেতারা জানান, ৯ দফা দাবিতে আজ শিক্ষার্থীদের গণমিছিল ছিল। জুমার নামাজ শেষে দুপুর ২টায় নগরীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে গণমিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরীর শিববাড়ি মোড় থেকে শুরু হয়ে নিউমার্কেট হয়ে সোনাডাঙা বাইপাস দিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসে। সেখানে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ দুই দিক থেকে হামলা চালায়। এসময় টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জে অন্তত ৫০ জন আহত হন।
এ বিষয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্ররা বেআইনিভাবে রাস্তায় নেমেছে। তাদের সরিয়ে দিতে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ নিজেদের নিরাপত্তার জন্য টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।’
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১৪ জন আহতকারীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনায় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত একজন পুলিশের গাড়ি চালকের অবস্থা আশংকাজনক।
সমাবেশের পর শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে নগরীর শিববাড়ি মোড়ের দিকে যেতে চাইলে বিকাল ৬টায় গল্লামারী মোড়ে আরেকদফা সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ মুর্হুমূর্হু টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে।\
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক জানান, শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি পালন করা কথা ছিল। কিন্তু তারা পুলিশের ওপর হামলা করেছে। বহু পুলিশ আহত হয়েছে।