দেশের ওপর দিয়ে গত এক মাস ধরেই তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এ সময়ে কখনো তীব্র, কখনো অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। গত ৩০ এপ্রিল যশোরে তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল ৪৩.৮ ডিগ্রিতে। আগের দিন ঢাকার তাপমাত্রাও ৪০ ডিগ্রির ঘর পার করে। তবে বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত হওয়ায় চলতি মে মাসের শুরু থেকেই কমতে শুরু করে তাপমাত্রা। ফলে কমতে থাকে তাপমাত্রা। সোমবার রাতে তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ফেনীতে রেকর্ড করা হয় ১৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টি। ঢাকাতেও ৩০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়।
বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের মধ্যেও সোমবার (৬ মে) গোপালগঞ্জ, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। তবে দীর্ঘসময় পর মঙ্গলবার (৭ মে) এই তিন অঞ্চলের তাপপ্রবাহও কেটে যায়। অঞ্চলগুলোতে রেকর্ড করা বৃষ্টিপাত। ওইদিন দেশের সর্বোচ্চ ৩৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় খেপুপাড়ায়।
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে থাকে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, পটুয়াখালি, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, নোয়াখালি, কুমিল্লা, ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে